প্রিয় নবী (দ.) পরিবার বা আহলে বাইতে রাসুল (দ.), যাঁদের ভালোবাসা ঈমানের সঙ্গে সংযুক্ত। তাঁরাই ফোরাতের তীরে শোহাদায়ে কারবালার প্রান্তরে মহান আল্লাহর প্রেমের নজরানা দিলেন। সফল ও সার্থক হলো চিরন্তন স্বার্থহীন অনন্ত প্রেম। শোহাদায়ে কারবালা বিশ্বাসীদের পরাজয় নয়; বরং ঈমানের পরীক্ষার চরম সাফল্য। আহলে বাইতে রাসুল তথা নবী (দ.) পরিবার–হযরত মা ফাতিমা (রা.), হযরত আলী (রা.), হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) এই পরিবারের সদস্য। তাঁদের মাধ্যমেই সংরক্ষিত হয়েছে নবী (দ.) বংশ। নবী (দ.) বংশেরই ১৯ জন সহ মোট ৮২ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন আশুরার দিনে ইরাকের কুফা নগরীর শোহাদায়ে কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে। এ জন্য প্রয়োজন প্রিয় নবীর (দ.) প্রেম, আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা, ধর্মনিষ্ঠা, আত্মত্যাগ, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য পালন, মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করা। ভোগে নয়, ত্যাগেই সুখের সন্ধান করা। জুলুম ও অন্যায়ের কাছে মাথানত না করা, সব সময় আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা। ভয়কে জয় করে, নিজের জীবন উৎসর্গ করে মুক্তির পথ তৈরি করাই শোহাদায়ে কারবালার মূল শিক্ষা।
১১ জুলাই আঞ্জুমানে শাহ হাদীয়া মাবুদীয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে ফটিকছড়ি হাদীনগর দরবার শরীফে ৩ দিন ব্যাপী আজিমুশশান শোহাদায়ে কারবালা মাহফিলে খলিফায়ে দরবারে আ’লা হযরত হাদীনগর দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন আল্লামা সৈয়দ শহিদুল আলম শাহ আলহাদী (মা.জি.আ) সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন।
শাহাজাদা সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন শাহ’র সঞ্চালনায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি ভারত কাছৌওছা দরবারের শাহজাদা আওলাদে রাসুল (দ.) আওলাদে গাউছে পাক, ফরজন্দে আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী, হযরত আল্লামা সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ ফয়জান আশরাফ আল আশরাফী আল জিলানী (মা.জি.আ)। আলেমদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পীরে তরিকত্ব আল্লামা আবুল কাশেম নূরী, আল্লামা মুফতি তৈয়ব খান আলকাদেরী, আল্লামা হাফেজ শফিকুল ইসলাম শাহ আলকাদেরী, আল্লামা ফরিদুল আলম রেজভী, আল্লামা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বারী, আল্লামা গাজী মঈন উদ্দিন রেজভী, মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুক নঈমী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী মর্তুজা সিরাজী, আল্লামা ফিরোজ আলম রেজভী, মুফতি সরোয়ার কাদেরী, মাওলানা বদর উদ্দিন, মুহাম্মদ আলী ফারুকী, মাওলানা আবদুর নূর আশরাফী কাদেরী, মাওলানা নোমানুল হক কাদেরী, মাওলানা জানে আলম কাদেরী, মাওলানা আবুন নুর মোহাম্মদ হাসাননুরী প্রমুখ। উক্ত মাহফিলে ৩ দিনের কর্মসূচি ছিল– খতমে কুরআন, খতমে আহলে বায়াতে রাসুল (দ.), খতমে বিছমিল্লাহ শরীফ, খতমে এখলাছ শরীফ, খতমে গাউছিয়া শরীফ, খতমে কাদেরীয়া শরীফ,খতমে খাজেগান শরীফ, খতমে দরুদে নারিয়া শরীফ, ওলামায়ে কেরাম গনের তকরির ও তাবারুক বিতরণ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।