যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে অভিবাসন দপ্তরের হানার পর অভিবাসীদেরকে নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার ডাক দিয়ে তাদের পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছেন শহরটির নতুন ভারতীয় বংশোদ্ভুত মেয়র জোহরান মামদানি। গত রোববার স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি অভিবাসীদেরকে নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে বলেন। মামদানি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস দপ্তরের (আইসিই) এজেন্টদের সঙ্গে কথা না বলা এবং তাদের কথা মানতে নাও পারেন অভিবাসীরা। খবর বিডিনিউজের।
এবিসি নিউজ জানায়, ভিডিওতে মামদানি নিউ ইয়র্ক শহরের ৩০ লাখ অভিবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হলে আমরা সবাই আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)-এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারব। ১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে শপথ নেবেন মামদানি।
তার আগেই তিনি এই বার্তা দিয়ে নিজের অবস্থান আরেকবার স্পষ্ট করলেন। অতীতে অভিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করেছিলেন এই ডেমোক্র্যাট নেতা। আবার সেই পথেই হাঁটলেন তিনি। মামদানি জানান, আইসিই এজেন্টরা কোনও প্রশ্ন করলে তার জবাব নাও দিতে পারেন অভিবাসীরা। ব্যক্তিগত জায়গায় তাদেরকে প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারেন।
এই অধিকার অভিবাসীদের রয়েছে। মামদানি আরও জানান, বিচারকের সই করা পরোয়ানা ছাড়া আইসিই এজেন্টরা কোনও স্কুল, কার্যালয় বা কারও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন না। তার কথায়, মিথ্য বলার আইনি অধিকার আইসিই’র আছে। আপনাদের চুপ থাকারও অধিকার আছে। আপনাদের আটক করলে, জিজ্ঞাসা করবেন, এ বার কি যেতে পারি? তারা জবাব না দেওয়া পর্যন্ত বারবার এ প্রশ্ন করুন। গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের চায়না টাউনে কয়েকজনকে আটক করতে গিয়েছিল আইসিই কর্মকর্তারা। তখন তাদের ঘিরে বিক্ষোভ করেন অভিবাসীদের একাংশ। গত অক্টোবরেও ওই এলাকায় একই কারণে বিক্ষোভ করে কিছু অভিবাসী।
এরপরই অভিবাসীদের পক্ষ নিয়ে সরব হলেন মেয়র মামদানি। রোববারের ভিডিওতে তিনি বলেন, নিউ ইয়র্ক সব সময় অভিবাসীদের স্বাগত জানাবে। আমি প্রতিদিন আমাদের অভিবাসী ভাই ও বোনদের সমর্থনে লড়ে যাব।












