ঢাকায় শেষ ম্যাচে হেরে ভাগ্য বদলের লক্ষ্যে নিজেদের ভেন্যু চট্টগ্রামে এসেছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই কুমিল্লা ভিক্টোয়িান্সের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় থাকলেও সেটা আর হয়নি। সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের কাছে হেরে এখন শেষ চারে যাওয়াটা কঠিন হয়ে উঠল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর রংপুরের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং বিশেষ করে প্রিটোরিয়াস এবং মেহেদী হাসানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাধে আরো একটি জয় পায় রংপুর। গতকাল তারা চট্টগ্রামকে হারিয়েছে ১৮ রানে। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থানটা আরো সুসংহত হলো রংপুরের। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১৬। আর ১০ ম্যাচে চট্টগ্রাম এবং খুলনার পয়েন্ট সমান ১০ করে। বরিশালের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ১০। কাজেই পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানটির জন্য লড়াইটা বেশ কঠিনই হচ্ছে। এখন সে দুই স্থানের যেকোন একটিতে থাকাট কঠিন হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য। চট্টগ্রামকে তাদের শেষ ম্যাচটি খেলতে হবে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে।
গতকাল টসে জিতে ব্যাট করতে নামা রংপুরের শুরুটা ছিল ধীর গতির। দুই ওপেনার রনি তালুকদার এবং রিজা হেনরিক ৪.৪ ওভারে ৩৩ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন। ১৯ বলে ২৫ রান করা রনিকে বোল্ড করেন শহীদুল। পরের ওভারে ফিরেন রিজা হেনরিক। ব্রেন্ডন কিংও পারেননি সাকিবকে সঙ্গ দিতে। তবে একপ্রান্ত আগলে একাই লড়াই করছিলেন সাকিব। এরই মধ্যে অধিনায়ক নুরুল হাসান ফিরেন ৫ রান করে। তবে পঞ্চম উইকেটে সাকিবকে কিছুটা সঙ্গ দেন শেখ মেহেদী হাসান। দুজন মিলে যোগ করেন ৬৮ রান। ১৭ বলে ৩৪ রান করা মেহেদীকে বোল্ড করে এজুটি ভাঙেন বিলাল খান। এরপর লড়তে থাকা সাকিব দলকে ১৬৭ রানে পৌঁছে দিয়ে ফিরেন ৩৯ বলে ৬২ রান করে। মেরেছেন ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। এবারের বিপিএলে সাকিবের এটি দ্বিতয়ি হাফ সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৬৯ রান করেছিলেন সাকিব। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারীর ৯ বলে ১৭ রানের উপর ভর করে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৭ রান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড।
জবাব দিতে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে শুরুতেই ধাক্কা দেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। প্রথম ওভারেই তিনি ফেরান জস ব্রাউনকে। এরপর বোল্ড করেন সৈকত আলিকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তার তৃতীয় শিকার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ৩৯ রান। চতুর্থ উইকেটে শাভাগত হোম এবং টম ব্রুস মিলে দলকে টানার চেষ্টা করেছিলেন। এ দুজন করেন ৪৫ রান। মেহেদী হাসান এক ওভারেই ফেরান দুজনকে। ব্রুস ২৪ আর শাভাগত ২১ রান করে ফিরেন। এরপর জুটি গড়েন রোমারিও শেফার্ড এবং জিয়াউর রহমান। মৌসুমের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামা জিয়াউর রহমান পারলেন না নিজের প্রথম ম্যাচটাকে স্মরনীয় করে রাখতে। ফিরেছেন ১৫ রান করে। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড চেষ্টা করেছেন বটে। তাতে কোনো লাভ হয়নি। হারের ব্যবধানটা কমেছে। শেফার্ডের হাফ সেঞ্চুরিটাও তাই কোনো কাজে আসল না। তার দল থেমেছে ১৬৯ রানে। হারতে হয়েছে ১৮ রানে। শেফার্ড ৩০ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।