সেই ২০১৫ সালের কথা। খুলনায় তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের রেকর্ড জুটির কল্যানে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ দল। আর সেটিই দলটির বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় অর্জন। ১৩ ম্যাচের মুখোমুখিতে বাকি ১২ ম্যাচে প্রতিটির ফলই গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাই অতীত পেছনে ফেলে সামনের সিরিজে রেকর্ড বদলাতে চান বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদা বলের দুই সংস্করণে সামপ্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্টে তাদের অবস্থা শুরুর দিনগুলোর মতোই নাজুক। ২০০১ থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ২০১৫ সালের খুলনা টেস্ট ড্র আর ২০০৩ সালে মুলতানে লড়াই করা ছাড়া বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স নেই বাংলাদেশের। হেরে যাওয়া ১২ ম্যাচের ৬টির পরাজয় ইনিংস ব্যবধানে। বাকি ছয় ম্যাচে শুধু মুলতানে যা একটু জেগেছিল জয়ের আশা। অন্যগুলোতে কোনো লড়াই–ই করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ঘরের মাঠে সিরিজে স্পষ্ট ফেভারিট হিসেবেই নামবে পাকিস্তান।
তবে শান্তর ভাবনা অবশ্য কিছুটা ভিন্ন। আগের অধিনায়কেরা যা করতে পারেননি, এবার তা করতে চান শান্ত। প্রথম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, বিশেষ কিছু করে পরিসংখ্যান বদলে দিতে আত্মবিশ্বাসী তার দল। আমি মনে করি পাকিস্তান যে ১২–০ তে এগিয়ে রয়েছে সেটা শুধুই আগের রেকর্ড। আর রেকর্ড তো বদলাতেই পারে। কাজটা সহজ হবে না। তবে আমাদের দল খুব ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, এবার বিশেষ কিছু করতে পারব। ক্রিকেটাররা এখানে খেলার জন্য রোমাঞ্চিত। সেই বিশেষ কিছু করতে বাংলাদেশের সামপ্রতিক ছন্দ আবার পক্ষে নেই। চলতি বছর খেলা দুই ম্যাচে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে শান্তর দল। চার ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফিফটি করতে পেরেছেন মাত্র ৩টি। এর দুটিই আবার মোমিনুল হকের। ব্যাটসম্যানদের ছন্দহীনতা মাথায় রেখে এবার যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেন শান্ত। তিনি বলেন এটা ঠিক আমাদের ব্যাটিংটা কিছুদিন ধরে ভালো হচ্ছে না। সবশেষ টেস্ট সিরিজটাও আমরা ওরকমভাবে ভালো করিনি। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে এবার আমরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। যতটুকু সুযোগ পেয়েছি, ভালোভাবে তৈরি হওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেক ক্রিকেটার বিশ্বাস করে, বিশেষ করে এবার ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করব। পাশাপাশি টেস্ট জেতার জন্য বোলিংটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, দল হিসেবে এবার খুব ভালো সুযোগ আছে আমাদের। আর সেটাকে কাজে লাগাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সবাই।