বয়স ভিত্তিক ফুটবলের প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে এসে নিজেকে প্রমাণের লড়াইয়ে নেমেছেন থিয়াগো আলমাদা। ঘটনাচক্রে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়ে যাওয়া তরুণের নজর এখন দলে জায়গা পাকা করে নেওয়ার দিকে। উরুগুয়ের বিপক্ষে গোল করে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক বলেছেন, দলে নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য অধীর হয়ে ছিলেন তিনি। হোয়াকিন কোররেয়ার চোটে গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচের মাত্র পাঁচ দিন আগে দলে ডাক পেয়েছিলেন আলমাদা। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২–০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল তার। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালের ম্যাচে উরুগুয়েকে ১–০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল মঞ্চের খুব কাছে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা। মহাতারকা লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে শুরুর একাদশে খেলেন ২৩ বছর বয়সী উইঙ্গার। আক্রমণে সুর বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনের সময় রক্ষণেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি এসেছে তা পা থেকেই। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আলমাদা বললেন, নিজের জায়গা করতে সামর্থ্যের ছাপ রাখতে উন্মুখ ছিলেন তিনি। ‘কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম, খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম এবং দেখাতে চেয়েছিলাম কেন আমি ডাক পেয়েছি। আমি অনেক শিখছি এবং মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এটা খুব কঠিন ম্যাচ ছিল। তবে ঠিকঠাক মতোই সব করতে পেরেছি এবং জয় পেয়েছি। শুরুতে ভুগছিলাম তবে একবার গুছিয়ে নেওয়ার পর আমরাই নিয়ন্ত্রণ করি এবং জায়গা বের করে নিই। এখন ভালোভাবে বিশ্রাম নেব এবং ব্রাজিল ম্যাচের অপেক্ষায় থাকব।’ বয়স ভিত্তিক দল থেকেই আলমাদাকে চেনেন লিওনেল স্কালোনি। রক্ষণে যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন ধারে লিঁওতে খেলা এই তরুণ, তাতে মুগ্ধ আর্জেন্টিনা কোচ। ‘ইউরোপীয় ফুটবলে তার খেলা গুরুত্বপূর্ণ। অল্প কিছু ম্যাচেই সে ক্লাবে শুরুর একাদশে জায়গা করে নিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, তার মাঝে কোচ কিছু একটা দেখেছেন। আলমাদাকে আমি অনূর্ধ্ব–২০ দলে কোচিং করিয়েছিলাম। সে প্রতিটি বয়সভিত্তিক দল পেরিয়ে এসেছে, বিশ্বকাপেও ছিল। তাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। সে অবদান রেখেছে, দর্শনীয় একটি গোল করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দল যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই খেলেছে।’