একটা বয়সের পর থেকে মানুষ নিজের কাছে আসতে শুরু করে, নিজেকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করে। হুটহাট এলোমেলো হয় না, কারও উচ্চবাচ্য কথা আগের মতো গায়ে মাখে না, খুব মনখারাপে এককাপ কফি নিয়ে জানালা আগলে রাখে, আয়নার সামনে একটু সময় নিয়েই কাজল পরে, রাস্তায় গড়াগড়ি খাওয়া ফুলগুলো মাথায় সাজানো হয় খুব সাবধানে, নিজেকে সুন্দর রূপে অপরূপা করে তোলে, পছন্দের শাড়িটার যত্ন নিয়ে ভাঁজ ভাঙে, পুরোনো হাত ঘড়ির বেল্ট পাল্টায়। অর্থাৎ নিজেকে নতুন রূপে উপস্থাপন করে। কীভাবে নিজেকে সবার থেকে কিছুটা ভিন্ন দেখাবে! খুব ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে এক্সাইটেড থাকে, পেঁজা তুলো মেঘের আকাশ দেখলে খানিক থেমে গিয়ে ছবি তোলে, ছবির প্রতিচ্ছবি যেনো অসাধারণ। ভয় পেলে চোখ বন্ধ করে নেয়, সামনের মানুষটা পছন্দসই না হলে নিঃশব্দে এড়িয়ে যায়, কান্না পেলে নিজের ফোনে পছন্দনীয় গান ফুল ভলিউমে হেডফোনে শুনি। বৃষ্টি দেখলেই সহজ হয়, দীর্ঘদিন কেউ ফিরে না এলে সজোরে মনের দরজা বন্ধ করতে শিখি। একটা বয়সের পর মানুষ নিজেকে চিনতে শুরু করে, তখন খুব একটা বেশি কাউকে দরকার হয় না। নিজেকে নিয়ে, নিজেকে সাজিয়ে, নিজেকে ভালোবেসে, আপন মনে জীবনকে রঙিন করা যায়।