মীরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজ এলাকায় ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর থেকে কলেজ গেটে দফায় দফায় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। রাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানায়। জানা গেছে, পরস্পর হামলায় আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ রাশেদ ( ২৫), আরিফুল ইসলাম ( ২৪), মনির হোসেন (২৬) ও রুমেল ( ২২) উপজেলা সদর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সেলিম অনুসারী নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অনুসারী ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, রোববার সকালে নিজামপুর কলেজে ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সে ঘটনা পরবর্তীতে রাজনীতিতে রূপ দেওয়া হয়। দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসায় বিকেলে ছাত্রদলের দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এরপর সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় রকেট ল্যাঞ্চার দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন মাসুদ বলেন, সকালে এসএসসি ২০২৪ ও ২০২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে আমাদের গ্রুপের এক ছাত্রকে দমদমা থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে উভয় পক্ষ কলেজ গেটে অবস্থান নেয়। এরপর ইউনিয়নের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সন্ধ্যার আগে আবার প্রতিপক্ষের কিছু নেতাকর্মী পাল্টা জড়ো হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে রকেট ল্যাঞ্চারের আঘাতে যুবদল নেতা আরিফের গলার অংশ ঝলসে গেছে বলে জানা গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার বলেন, কলেজে ২৪–২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির অনুসারীরা ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে উস্কানি দেয় এবং দুইজন সাধারণ ছাত্রদকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরক্ষণে সাধারণ ছাত্ররা সেই শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যুবদল নেতা জিয়া, আরিফ, রহিমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর রকেট ল্যাঞ্চার এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।












