নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও জনতা জুয়েলার্সের মালিক উত্তম কুমার ধরের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফটিকছড়ির নাজিরহাট থেকে নিখোঁজ হলেও সীতাকুণ্ডের মাধবকুণ্ড এলাকায় রেললাইনের উপর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার ছিন্নভিন্ন লাশটির হাতের রিঙ ও পায়ের জুতা দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে উত্তম কুমার ধরকে শনাক্ত করেন তার ভাই উজ্জ্বল কুমার ধর। নিহত উত্তম কুমার ধরের বাড়ি ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের শাহনগর বণিক পাড়ায়। পরিবারের দাবি, কেউ অপহরণ করে এ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। জানা গেছে, ৮ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য নিজ দোকান থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি উত্তম কুমার ধর। এরপর থেকে তার খোঁজ না পেয়ে পরপদিন বুধবার ফটিকছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই উজ্জল কুমার ধর। নিহত উত্তম কুমার ধরের ভাই উজ্জল কুমার ধর বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেছি। আমার ভাই সীতাকুণ্ড যাওয়ার কথা ছিল না। কেউ অপহরণ করে ওখানে নিয়ে গেছে। পরে পরিকল্পিতভাবে ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারের জনতা জুয়েলার্সের মালিক আমার ভাই। মঙ্গলবার সকালে দোকান থেকে বের হয়েছিল সে। শহরে একজন উকিলের সাথে দেখা করার কথা ছিল তার। এ ছাড়া একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করে চিকিৎসাও নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে আর ফিরেনি। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু কোথাও না পেয়ে ফটিকছড়ি থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেছি।
সীতাকুণ্ডে রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের এসআই খুরশেদুল আলম বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের সদর ডেবার পাড় এলাকায় রেললাইনে কাটা পড়া এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছি আমরা বৃহস্পতিবার রাতে। রাত ৮টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়েছিল লোকটি। লাশটি রাতেই মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শুরুতে অজ্ঞাত হিসেবে থাকলেও লাশটি ফটিকছড়ির এক জুয়েলারি ব্যবসায়ির বলে সনাক্ত করায় পরিবারকে হস্তান্তর করেছি। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিখোঁজ ডায়েরি নিয়েছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারি ওই জুয়েলারি ব্যবসায়ী সীতাকুণ্ডে আছে। তবে এখন লাশ পাওয়া যায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবারকেও মামলা দেওয়ার জন্য বলবো।
