কক্সবাজারে নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর আল মুহাম্মুদ হক আহাদ (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শহরের কলাতলী ১২নং ওয়ার্ডের ডিসির পাহাড় এলাকার নিজ বাড়ির অদূরেই একটি খালি প্লটের ভেতর তার মরদেহ পাওয়া যায়। শিশুটি ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র।
নিহত শিশু আহাদের খেলার সাথীদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে খেলা শেষে কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি তাদেরকে লজেন্স দিতে চায়। এক পর্যায়ে আহাদকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। তারপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন আত্মীয়–স্বজন ও প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে বাড়ির পাশের সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা একটি খালি প্লটে শিশু আহাদের নিথর দেহ পাওয়া যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশু মারা যায় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াছ খান জানান, নিহত শিশু আহাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার গলায় হাতের চাপ ও নখের চিহ্ন এবং পিঠে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার মুখে ফেনা এবং নাক ও কানে বালুভর্তি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যা করে তার মরদেহ এই খালি প্লটে ফেলে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এলাকাবাসী জানান, ডিসি পাহাড়ের অনেক জায়গা পরিত্যক্ত এবং অন্ধকার। এসব জায়গায় মাদকাসক্ত ও অসামাজিক ব্যক্তিদের আনাগোনা হয়। মাদকসেবীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে।