নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

| বুধবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার বিরুদ্ধে ১৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মুখপত্রে পরিণত হয়েছে এবং তার সম্পর্কে ভুল ও মানহানিকর খবর ছড়িয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

ফ্লোরিডার একটি জেলা আদালতে সোমবার রাতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা মামলা দায়ের করেন। এতে পত্রিকাটির সাংবাদিকদের লেখা কয়েকটি নিবন্ধ ও একটি বইকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেগুলো ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় প্রকাশিত হয়েছিল। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, টাইমস সততা, বস্তুনিষ্ঠতা ও যথার্থতার যে সাংবাদিকতাগত মূল্যবোধের দাবি করত, তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের অন্যতম প্রধান ও নির্লজ্জ উৎসে পরিণত হয়েছে এই সংবাদপত্র। ট্রাম্পের অভিযোগ, নিউ ইয়র্ক টাইমস নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়ে সেই খবরটি পত্রিকার প্রথম পাতায় বিশেষভাবে ছেপেছে পত্রিকাটি। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ট্রাম্প এর আগেও মার্কিন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে একাধিক বহু মিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন। এবিসি নিউজ, উপস্থাপক জর্জ স্টেফানোপোলস এবং প্যারামাউন্টের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো ইতোমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলমান।

নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালএ ট্রাম্প লিখেছেন, নিউইয়র্ক টাইমস হল আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং অধঃপতিত সংবাদপত্রগুলোর একটি। তারা আমার, আমার পরিবার, ব্যবসা, আমেরিকা ফার্স্ট আন্দোলন এবং পুরো জাতির বিরুদ্ধে মিথ্যার ধারাবাহিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, তিনি অভিযোগ করেন। মামলায় সাংবাদিক সুজান ক্রেগ ও রাস বুটনারের লেখা বই লাকি লুজার: হাউ ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কুয়ান্ডার্ড হিজ ফাদার্স ফরচুন এন্ড ক্রিয়েটেড দ্যা ইলিউশন অফ সাকসেস এর ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে। বইটির প্রকাশক পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি মতামত নিবন্ধকে ঘিরে ট্রাম্প একটি মামলা করেছিলেন, যা আদালত পরে খারিজ করে দেয়। ২০১৮ সালে তার পরিবারের সম্পদ ও করসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে করা নিউ ইয়র্ক টাইমসের আরেকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও তিনি মামলা করেছিলেন, যা ২০২৩ সালে নিউ ইয়র্ক আদালতের বিচারক বাতিল করে দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেতানিয়াহু হিটলারের আত্মীয়ের মতো, বললেন এরদোয়ান
পরবর্তী নিবন্ধদুর্গারাণী চাকমা