নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিপর্যয়ের মধ্যে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান । তার পরও অবশ্য খুব স্বস্তিতে নেই দল। তিনি ছাড়া ভালো করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। একটি জুটি ছাড়া গড়ে উঠেনি বড় কোনো বন্ধন। সিলেটে প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল এগিয়ে আছে সাত রানে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের উইকেট বাকি দুটি। ৮ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে দিন শুরু করে কিউইদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫৬ রানে। আগের দিনের চার উইকেটের সঙ্গে আরও দুটি উইকেট যোগ করে সৈয়দ খালেদ আহমেদ থামেন ৫৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে ৫ উইকেটে স্বাদ পেলেন তিনি নবমবার। দিন শেষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের রান ৮ উইকেটে ২৪৯। ৮১ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে গিয়ে প্রবল প্রতিআক্রমণ চালিয়ে দলকে এগিয়ে নেন সোহান। ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৮ বলে ১০৭ রান করে আউট অধিনায়ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার দ্বাদশ শতরান এটি। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ২৫ রান ছাড়াতে পারেননি। চার উইকেট শিকার করেন জশ ক্লার্কসন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগের ২৮ ম্যাচে কখনোই ইনিংসে দুই উইকেটের বেশি পাননি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সকালে শেষ দুই জুটিতে নিউজিল্যান্ড খেলতে পারে আরও ঘণ্টাখানেক। যোগ করে ৩০ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিচেল হে ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক দলকে পার করান আড়াইশ। পরপর দুই ওভারে এই দুজনকেই ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেন খালেদ।
বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার পর প্রথম আধ ঘণ্টা কেটে যায় নির্বিঘ্নেই। এবারের জাতীয় লিগে ৭০০ রান করা এনামুল হক শুরু করেন আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে। দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি মুহাম্মাদ আব্বাসকে পুল করে। তবে তিনিই বিদায় নেন আগে (৩৭ বলে ২৪)। ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর টপ অর্ডারের অন্যরাও ভালো করতে পারেননি। স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে আলগা ড্রাইভ খেলে কিপারকে ক্যাচ দেন জাকির (১২)। জয় চার রানে জীবন পান গালিতে ক্যাচ দিয়ে।
অমিত হাসান ২৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন। ৮১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে দল তখন নড়বড়ে। সেখান থেকে সোহান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের শতরানের জুটি। সোহান শুরু থেকেই ছিলেন দুঃসাহসী।
৯০ ছোঁয়ার পর বাঁহাতি স্পিনার জেডন লেনক্সকে টানা দুই বলে একই রকম পুল শটে চার ও ছক্কা মেরে শতরানে পা রাখেন সোহান ৭৩ বলে। ১৩২ রানের জুটি ভাঙে অঙ্কনের বিদায়ে। ৭৯ বলে ২৫ রান করা ব্যাটসম্যান আউট হন অনেক বাইরের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে। সঙ্গীকে হারিয়ে পরের ওভারেই বিদায় নেন সোহান। পরে খালেদও বাজে শট খেলে আউট হলে ৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লোয়ার–অর্ডার নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদ লড়াই করেন কিছুটা। দিনের শেষ সময়ে নাঈম বিদায় নেন ২০ রান করে।