বিয়ের আগের দিনের ঘটনা। ‘প্রেমিকাকে’ বিয়ে না করার জন্য বরের কাছে ছবি ও ভিডিও দেখান কথিত প্রেমিক রাকিব (২০)। এতে ক্ষেপে গিয়ে রাকিবকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে এ ঘটনায় বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় বিষপান করেছেন এক তরুণী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পালেগ্রামে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, কালীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পালেগ্রাম এলাকার জাকের আহমদের পুত্র প্রবাসী মো. আজিজুর রহমানের সাথে বাহারচড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। শনিবার রাতে মো. আজিজুর রহমানের বাড়িতে যখন মেহেদি অনুষ্ঠান চলছে সেই সময় কনের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. রাকিব নামে এক তরুণ কনের সাথে তার ‘প্রেমের সম্পর্কের’ কথা জানিয়ে কিছু ভিডিও ও ছবি আজিজকে দেখান। এ ঘটনায় ক্ষেপে গিয়ে আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা রাকিবকে একটা ঘরে আটকে রাখেন।
গতকাল রোববার বিয়ের কথা থাকলেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজিজ বেঁকে বসেন। তার বিয়ে করতে না যাওয়ার ঘটনায় বিষপান করেন হবু বধূ। তাকে বাঁশখালীর একটা বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, বাঁশখালী থানা পুলিশের রামদাশ মুন্সিহাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তারা রাকিবকে আজিজের বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদ সংলগ্ন ফোরকানিয়া মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা হয়নি।
আজিজের পিতা জাকের আহমদ বলেন, মেহেদি অনুষ্ঠানের রাতে রাকিব নামে এক ছেলে এসে মেয়েটির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে কিছু ভিডিও ও ছবি দেখায়। যার কারণে আমরা তাকে আটকে রাখি এবং বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এ বিয়ের ব্যাপারে আমার অন্তত ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করতে কনেপক্ষকে খবর দিয়েছি। কিন্তু তারা আসেনি। বিয়ে উপলক্ষে খরচ হওয়া টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।
কনের মা বলেন, এত কিছুর আয়োজন করেছি। এরই মধ্যে রাকিব নামে এক বখাটের সাথে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে ছেলেপক্ষের লোকজন বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর শুনে আমার মেয়ে বিষ পান করেছে।