নালায় বাজারের বর্জ্য জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

আনোয়ারা চৌমুহনী বাজার

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ জুন, ২০২১ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার চাতরি চৌমুহনী বাজারে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নালায় ময়লা-আবর্জনা জমে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার শুরুতে গত ২ দিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজার-হাজার মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। ফলে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ভারী বর্ষণে এ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়ে যাবে। সেই সাথে বাজার কমিটির অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেছেন অনেকেই।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়,পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী(পিএবি) সড়কের ২ পাশে অতি গুরুত্বপূর্ণ চাতরি চৌমুহনী বাজারের পানি নিষ্কাশনে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৬০ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ শুরু করে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এর মধ্যে সড়কের দুই পাশে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি চলাচলে ড্রেন নির্মাণ, ফুটপাত ও গোল চত্বরও তৈরিতে ব্যয় হয় ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকা ও বাজার কমিটির অব্যবস্থাপনায় ৬০ লাখ টাকার উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বর্তমানে নির্মিত এসব নালা দখল করে বাজার কমিটি অস্থায়ী তরকারি ও ফল-মূলের দোকান বসিয়ে ইজারা সুবিধা ভোগ করছে। আর নালাগুলো ময়লা আবর্জনার স্তুপে ভর্তি, দীর্ঘ দিন ধরে পরিষ্কার না করায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে পুরোবাজার জলাবদ্ধতায় ভাসছে। দোকানীরা দিন শেষে ব্যবসা বাণিজ্যের পর ময়লা আবর্জনা নানায় ফেলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও দেখার কেউ নেই। সরেজমিন দেখা যায়, বাজারের গোল চত্বরের মুখে পানি জমে সড়ক ডুবে আছে, সড়কের দু’পাশে নির্মিত নালা ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো বাজারে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাজারের স্থায়ী ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা শেষে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে নালাকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বাজার ছাড়িয়ে পিএবি সড়ক ও সিইউএফএল সড়কের দু’পাশে ফুটপাত দখল করে কয়েক শতাধিক দোকান গড়ে উঠেছে।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তসলিমা জাহান জানান, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে চাতরি চৌমুহনী বাজারে পানি নিষ্কাশনে নালা ও ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাজারের বর্জ্যের কারণে নালা সচল করা যাচ্ছে না। চাতরির চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন হিরু জানান, বাজারের অস্থায়ী ও স্থায়ী দোকানদাররা তাদের বর্জ্য নালায় ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নজরদারির অভাবে বাজারে দুর্ভোগ বাড়ছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, চাতরি বাজারে নির্মিত নালাগুলো একাধিকবার পরিষ্কার করা হয়। ব্যবসায়ীদের নালায় বর্জ্য না ফেলার তাগিদ দেয়া হয়। ভাসমান দোকনগুলো সরিয়ে নিতে প্রতি মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তারপরও বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২/১ দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা পরিষ্কার করে দেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবুতরের ঘর বানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধখাদ্যের দামে কমলো মূল্যস্ফীতি