৩৯ দিন আগে নগরের মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ সালেহ আহমেদের ছেলে সাদেকুল্লাহ মহিমকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগে চাকরি দিয়েছেন মেয়র। গতকাল মঙ্গলবার টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আগামী ১ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে যোগ দেবেন মহিম।
গত ২৫ আগস্ট সকাল সোয়া ১১টার দিকে মুরাদপুর আয়োজন রেস্তোরাঁর সামনে নালায় পড়ে যান সালেহ আহমদ। অন্য সময় হাঁটু সমান পানি থাকলেও আগের রাতের বৃষ্টির কারণে ওইদিন নালাটি ছিল পূর্ণ। স্রোতও ছিল তীব্র। ফলে মুহূর্তেই হারিয়ে যান তিনি। গতকাল পর্যন্ত তার খোঁজ মিলেনি।
২৬ আগস্ট রাতে আছদগঞ্জের কলাবাগানে সালেহ আহমেদের শ্বশুরবাড়িতে যান মেয়র। সেখানে সালেহ আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্ব্বনা দেওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত সদস্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর চসিকে চাকরির আবেদন করেন মহিম। এর প্রেক্ষিতেই মহিমকে চাকরি দেওয়া হলো।
সালেহ আহমেদের গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। চকবাজারে তার সবজির দোকান আছে। মহিম ছাড়াও জান্নাতুল মাওয়া মিতু নামে একটি মেয়ে রয়েছে। সে পটিয়া মনসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সালেহ আহমেদ। তাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার। এ অবস্থায় চাকরি পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মহিম। তিনি আজাদীকে বলেন, বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল আমাদের পরিবার। কোনোভাবে দিনাতিপাত করছিলাম। এখন মেয়র মহোদয় চাকরি দিয়েছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পরিবারের হাল ধরতে পারব বলে ভালো লাগছে। জীবনবৃত্তান্তে এসএসসি পাস লিখলেও চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন বলে জানান তিনি।
চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক আজাদীকে বলেন, মহিমকে যান্ত্রিক বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন করা হবে।












