কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো। মহামারীতে মৃত্যু, শোক আর সংকটের একটি বছর পেরিয়ে এসে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়েই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সরকার আশা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। প্রথম টিকা দেওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে। টিকা নিয়ে তিনি বলেন ‘জয় বাংলা’। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
প্রথম টিকা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার ভয় লাগছে না তো? জবাবে রুনু বলেন, না। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব সাহসী তুমি। তুমি সুস্থ থাকো, ভালো থাকো। আরও অনেক রোগীর সেবা করো। সেই দোয়া করি।
প্রথম দফায় টিকা নেওয়া ৫ জনের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি। এই পাঁচজনসহ মোট ২৬ জনকে প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।
নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা সাংবাদিকদের বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তবে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি। অনেকেই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছেন। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে, এই ভ্যাকসিনটি কিন্তু তৈরি করা হয়েছে একটি ভালো উদ্দেশ্যে।
তিনি বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে যদি কেউ ভ্যাকসিন না নেয় তবে সেটা ভুল হবে। কারণ অনেক ওষুধেও কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আবার অনেকের শরীরে অনেক ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদি আমার শরীরে অন্যান্য রোগ বেশি মাত্রায় না থাকে, তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যা নেই।
২০১৩ সাল থেকে রুনু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নার্সিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়া কস্তা আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজ করতেন।