নারী সংস্কার কমিশন: পুনঃপর্যালোচনা

সামিহা খায়ের | শনিবার , ১৪ জুন, ২০২৫ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

নারী শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি। সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম সবখানেই সবসময়ই নারীকে নিয়ে যে প্রকার আলোচনা ছিল, তার থেকে মনে হয় মানুষ হিসেবে নারীর অবস্থান সম্ভবত কিছুটা অস্পষ্ট। একজন নারীকে সবসময় সাদা অথবা কালো হতে হয়। বর্ণবাদের সাদাকালো নয়, আলো আঁধারের সাদাকালো। অর্থাৎ, হয় তিনি সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী নয়তো তাকে সম্মান দেওয়ার প্রতি মানবসমাজের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। অথচ মানুষ সাদা আর কালোর মাঝামাঝিতে অবস্থান করে। কখনো আঁধার, কখনও আলোয়। নারীর প্রতি তাহলে এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণ কি হতে পারেএর উত্তর সম্ভবত আমাদের কারো কাছেই স্পষ্ট না। তবে একে আলোচনার বিষয় হিসেবে ধরা যেতেই পারে।

সেই আলোচনার অংশবিশেষে উঠে আসতে পারে জুলাই অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া সারাদেশ ব্যাপী সংস্কার কার্যক্রমে নারীর প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান ঘটানোর আলাপও। বর্তমান বাংলাদেশে যেই সংস্কারের আবছা আলো দেখা যাচ্ছে, সেখানে উঠে এসেছে নারীর কথাও। সাধারণ খেটে খাওয়া নারী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তানারী এখনো আগের মতোই বিতর্কিত। তবু এই সমাজ এবং রাষ্ট্রে যদি নারীর অবস্থান শক্তপোক্ত করতে হয়, তাহলে তাকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়া বাধ্যতামূলক। নারী কমিশনের বহুল আলোচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো, নারীদের জন্য সংসদে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ আসন বরাদ্দ করা এবং এই নিয়ম না মানা হলে দণ্ড বা জরিমানা ধার্য করা। এর বিপক্ষে একটি শক্তিশালী যুক্তি হলো, সংসদে নারীর সংখ্যা শুধু বেড়ে গেলেই নারীর ক্ষমতায়ন হবে না; যোগ্য প্রার্থী প্রয়োজন। আপাতদৃষ্টিতে এই যুক্তি সঠিক মনে হলেও যদি আমরা বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় নারীদের রাজনৈতিক অবস্থানের আলোচনা তুলে ধরি তবে যুক্তিতে কিছুটা খুঁত অবশ্যই চোখে পড়বে। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যেখানে নারীদের জন্য সর্বস্তরে বাল্য বিবাহ, উচ্চতর শিক্ষা, যৌতুক প্রথার মতো বিষয়গুলোকে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয় নি, সেখানে সকল বৈষম্যকে কাটিয়ে রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলবে, এই আশায় গুঁড়েবালি।

তাছাড়া দেশের জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ নারী হওয়া সত্ত্বেও নারী নেতৃত্বের এই করুণ দশা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ না করা হতাশাজনক। তবে এই কথাটিও সত্যি যে, বরাদ্দকৃত নারী আসনগুলো ঠিক কতজন নারী যোগ্যতার ভিত্তিতে অর্জন করবেন কিংবা যোগ্যতার মাপকাঠি ঠিক কি হবে এবং সেই মাপকাঠি রক্ষা করা আদৌ কতটুকু সম্ভবতা সম্পর্কে সুনিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায় না।

রাজনৈতিক অবস্থান সাধারণ মানুষের আলোচনায় না আসলেও, শ্রম এবং কর্মসংস্থানের মতো অতি সাধারণ বিষয়টি অবশ্যই জনগণের আমলে নেওয়ার মতো একটি বিষয়। নারী কমিশন তাদের প্রস্তাবনায় এমন একটি বিষয় তুলে ধরেছেন যার, আলোচনা সমালোচনার পর্যায়টিতেও শুধুমাত্র তারাই পৌঁছাতে পারবেন যাদের “লোকে কি বলল” ভয়টা অপেক্ষাকৃত কম। শ্রম এবং কর্মসংস্থান অংশে “যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে” প্রস্তাবটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশ সাহসী কিন্তু বাস্তবে কতটুকু প্রয়োজন সেই বিষয়টি আলোচনা যোগ্য। প্রথমত, আমাদের বুঝতে হবে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্র কিভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০টি বৈধ যৌনপল্লী আছে এবং ইউএনএইডস এর ২০১৬২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে যৌনকর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার, মতান্তরে সংখ্যাটি প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি। যার মাঝে ১০ থেকে ২৯ হাজার যৌনকর্মী অপ্রাপ্তবয়স্ক ( ইউনিসেফ ২০০৪)। শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে তাদের জন্য একটি নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে, শ্রমের সময় নির্দিষ্ট থাকবে, সাংবিধানিক অধিকার পাবেন, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা, চুক্তির আওতায় কাজ করা থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করবেন। পতিতাবৃত্তি এমন এক পেশা যার চাহিদা এতোখানি যে একে সবচেয়ে আদি ব্যবসা হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু শারীরিক চাহিদা এখনো ট্যাবু। অর্থাৎ লুকিয়ে লুকিয়ে পুরুষরা যৌনপল্লীতে যাবেন এবং তাদের ঘরের নারীরা সায়ও দিবেন ঠিকই তবে যৌনকর্মীদের শ্রমিক স্বীকৃতি দিতে চাইলে নড়েচড়ে বসবেন তারা, গলা উঁচিয়ে জানান দিবেন যে এতে তাদের জাত চলে যাচ্ছে।

তাহলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি হতে পারে? দেশের প্রায় ২ লক্ষ জনগণকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দেওয়া? রাষ্ট্র যা করতে পারবে সেটা হলো যৌনপল্লীর উচ্ছেদ। অথচ এ কথাও সত্যি যে বারবার এধরনের উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর পরেও যৌনপল্লীকে কখনোই পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ, যারা দিনের আলোয় প্রকাশ্যে নাক সিঁটকে বলছেন, যৌনপল্লী উচ্ছেদ করা হোক, তারাই আবার রাতের আঁধারে গিয়ে যৌনকর্মীদের চাহিদা সৃষ্টি করছেন। এই দ্বিমুখীতা বেশ ভয়ংকর এবং এর বলি হচ্ছে দেশের লক্ষাধিক জনগণ, যার মাঝে রয়েছে শিশুও।

রাষ্ট্র এর সমাধানে যে দুটি পদক্ষেপ নিতে পারতো তার মধ্যে একটি হলো, যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। যেখানে জনগণের সাংবিধানিক আইন নিশ্চিত করা সম্ভব। আরেকটি বিকল্প সমাধানের কথা উঠছে যে, যৌনপল্লী নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করাযা বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বেশ অবাস্তব। আবার সামাজিক প্রেক্ষাপটে এদেশে ধর্মের প্রভাবও প্রখর, যার ফলে পতিতাবৃত্তিকে জীবিকা উপার্জনের জন্য স্বীকৃত পেশা হিসেবে মেনে নেওয়া সহজ নয়।

নারী কমিশনের আরো বেশ কয়েকটি আলোচিত বিষয় ছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে অভিন্ন পারিবারিক আইন ও বৈবাহিক ধর্ষণ।

অভিন্ন পারিবারিক আইন কি ধর্মীয় আইনের সাথে সাংঘর্ষিক? নারীপক্ষ ও কমিশন প্রধান শিরীন পারভীন হকের মতে, বিষয়টি মোটেই এমন নয়। এটি একটি ঐচ্ছিক বিষয়। অর্থাৎ কেউ চাইলে এই আইনকে ব্যবহার করতে পারবেন কিংবা ধর্মীয় আইন মোতাবেক জীবন যাপন করতে পারবেন। তবু এই আইনের সমালোচনা কেন হচ্ছে? যেখানে নারীকে ইসলামী আইন অনুযায়ী সম্পত্তির প্রাপ্য অংশটুকু পর্যন্ত দেওয়া হয় না, সেখানে কি আদৌ সম্পত্তির সমবণ্টন সম্ভব?

এখানে আমরা যদি আবারো পুরোনো আলাপে ফিরে যাই, যেখানে সমাজে নারীদের শুধু দুটো চোখে দেখা হয়আলো আর আঁধার। যার ফলে নারীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বেশ সহজ কাজ। যে নারী গলা উঁচু করে সম্পত্তির অধিকার চাইতে পারে, বাপ ভাইয়ের কাছ থেকে জোর করে সম্পদের ভাগ নিতে পারেসমাজের চোখে সে কোনোভাবেই একটা ভালো মেয়ে না। আর একারণেই ইসলামী আইনে সম্পত্তির যেটুকু ভাগ পাওয়ার কথা মেয়েরা কখনো সেটুকুও পায় না। তাই সম্পদের বণ্টনে সমান অধিকার চাইতে আসা নারীদের কেউ ভালো চোখে দেখতে চাইবে না এটাই বরঞ্চ বেশ স্বাভাবিক ঘটনা। কয়জন নারী সমবণ্টনের আইন প্রয়োগ করতে চাইতো, সেটাও বিবেচনার বিষয়। কেননা নারীকে শিশুকাল থেকেই তার অধিকারের চাইতে তথাকথিত সম্মানকে প্রাধান্য দিতে শেখানো হয়। হিন্দু পরিবারে সম্পত্তির ভাগাভাগিতে নারীদের অবস্থান আরও করুণ। সাধারণত উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তিতে কোনো অধিকারই তাদের নেই। এদেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নারী বৈষম্যে কোনোদিনই কোন ছাড় দেওয়া হয় নি।

নারী কমিশনের আরেকটি প্রস্তাব, যাকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তা হলো বৈবাহিক ধর্ষণ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে এটি মোটেই একটি পরিচিত শব্দ নয়। এদেশের বেশিরভাগ মানুষই যৌন শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। যার ফলে ধর্ষণ বা কনসেন্ট কিংবা অনুমতির সাথেও তারা খুব একটা পরিচিত নয়। ধর্ষণ এবং স্বাভাবিক শারীরিক মিলনের মাঝে পার্থক্য ঠিক কতটুকু, এদেশের সাধারণ মানুষের এ সম্পর্কেও ধারণা প্রায় নেই বললেই চলে। নারীর অনুমতি ব্যতীত তার সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে তাকে ধর্ষণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু এই বিষয়টিই যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঘটে তাহলে একে স্বাভাবিক বলেই বিবেচনা করা হয়, অন্তত এতদিন অব্দি তাই হয়ে আসছিল। জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে নববধূর মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও এদেশে খুব অস্বাভাবিক নয়। পত্রপত্রিকায় হরহামেশাই এ ধরনের সংবাদ ছাপানো হয়। তবুও এদেশের অসংখ্য নারী পুরুষ এই আইনের বিরোধিতা করছেন। কিন্তু কেন? নারীর যৌন নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সমাজের এত অনীহা কেন? এই আইন প্রয়োগের ফলে কি নারী পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক বিঘ্নিত হবে?

যৌনকর্মীকে শ্রমিকের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে অন্যদিকে বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছেতাহলে কি পুরুষরা আইনি জটিলতার ভয়ে যৌনপল্লীকে শারীরিক চাহিদা পূরণে ব্যাবহার করবে?

প্রথম সন্দেহ অনুসারে যদি ধরেও নেই, এই আইন ব্যবহার করে নারীরা পুরুষদের হেনস্তা করার সুযোগ পেয়ে যাবে। তবু এটাও সত্যি যে নারীরা বৈবাহিক ধর্ষণের ফলে প্রাণ হারায়। তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়। আইনকে হেনস্তার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার যে সন্দেহটুকু তা নিয়ে আলাপ হোক কিন্তু নির্যাতিত নারীদের অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্বও। এবং ঘুরেফিরে এখানেও সেই একই প্রশ্ন থেকে যায়, কয়জন নারী আদৌ এই আইনের সহায়তা নিতে চাইবেন? কারণ নারীর সম্মান রক্ষার যে মানসিক চাপ তা কাটিয়ে উঠে সে কি কখনোই সত্যিকার অর্থে নিজের অধিকার রক্ষায় সর্বক্ষেত্রে সাহসী হয়ে উঠতে পারবে কোনোদিনও!

দ্বিতীয় সন্দেহের ব্যাপারে একটি ছোট যুক্তি হলো, শ্রমিক স্বীকৃতি পেলে যৌনকর্মীদের উপর কোনো প্রকার নির্যাতন চালানো হলে নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব। অর্থাৎ ঘরে বা বাইরে কোথাওই যৌন নির্যাতন করে বেঁচে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।

নারী কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে বহু তর্ক বিতর্ক চলতে পারে, হতে পারে সমালোচনাও। কিন্তু নারী কমিশন চেয়েছে সকল বৈষম্য নিরসন করে নারীরা সর্বক্ষেত্রে নিজেদের বিচরণের জানান দিয়ে যাক যুগের পর যুগ। আজকের আলোচনায় নারী কমিশনের যেসকল প্রস্তাবনা উঠে এসেছে তার প্রয়োগ হবে কি না সেটি এখনো বিবেচনাধীন। কিন্তু এসকল আইন বাস্তবায়নের আগে শিক্ষাব্যবস্থায় যৌনশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অতিব জরুরি। রাষ্ট্রের সংবিধানিক আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের করণীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ অবস্থান নিতে হবে। জনগণকে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির পার্থক্য বুঝতে হবে। ভিন্নমতের চর্চা, সহানুভূতি ও সহিষ্ণুতার মতো শব্দগুলোও অন্তরে ধারণ করতে হবে।

এ পথ বহুদিনের। নারীর অধিকার রক্ষার আন্দোলন চলে আসছে সেই কবে থেকেই। এদেশে একসময় শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদার জন্য নারীকে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। সেই বহুযুগ আগের অধিকার রক্ষার লড়াই এখনো চলমান। নারীর এ লড়াই ছড়িয়ে পড়ুক সর্বস্তরে। আলো আর আঁধারের যাত্রী হিসেবে নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে নারী হয়ে উঠুক পরিপূর্ণ একজন মানুষ। পূর্ণ অধিকারপ্রাপ্ত দায়িত্বশীল নাগরিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজানে দুই বছরের বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় বাজেট: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিল বরাদ্দের প্রস্তাব