নারী শিক্ষার প্রসারে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন বিশ্বে রোল মডেল

১১তম সমাবর্তনের বক্তব্যে আচার্য চেরি ব্লেয়ার

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন সারা বিশ্বে রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের আচার্য ও সাবেক ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের আচার্য ও সাবেক ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের উইলসলি কলেজের প্রেসিডেন্ট পলা জনসন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হকসহ আমন্ত্রিত দেশিবিদেশি অতিথিগণ এতে উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫টি দেশের স্নাতকের ৩৭৪ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ১২ জন চা শ্রমিকের সন্তানও রয়েছেন। অন্য দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের ৯ জন, কম্বোডিয়ার ৪ জন, চীনের ১ জন, ভারতের ১২ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৪ জন, লাওসের ১ জন, নেপালের ১২ জন, শ্রীলঙ্কার ১৩ জন, সিরিয়ার ৯ জন, তিমুর লেস্তের ৫ জন, আমেরিকার ২ জন, ভিয়েতনামের ৭ জন এবং ইয়েমেনের ৩ জন শিক্ষার্থী সমাবর্তনে অংশ নেন। ১১তম সমাবর্তনে তিন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে সমাবর্তন দেওয়া হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য চেরি ব্লেয়ার ও সমাবর্তন বক্তা যুক্তরাষ্ট্রের উইলসলি কলেজের প্রেসিডেন্ট পলা জনসনকে সম্মননা ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের আচার্য ও সাবেক ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার বলেন, এশিয়া অঞ্চলে অনগ্রসর, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও শরণার্থী নারীদের জীবনমান বদলে দিতে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, আগামীতে বাসযোগ্য ও সমতাভিত্তিক বিশ্বের নেতৃত্ব দিবে এই শিক্ষার্থীরা। প্রাতিষ্ঠানিক সনদ প্রাপ্তির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার ও সমাজ বদলে দিতে ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

এদিন সকাল ১০টা থেকে অতিথি, সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেন। সমাবর্তনে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার নিয়ে আসেন অনেকেই। অনেক শিক্ষার্থী তাদের বাবামাকে নিয়ে আসেন। পুরো ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর। কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয় ক্যাম্পাসে। অনেকেই ক্যাম্পাসে থেকে পাঠ চুকিয়ে বেরিয়েছেন কয়েক বছর আগে। ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন পেশায়। সমাবর্তনের ডাক পেয়ে ছুটে এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে। হাসিআনন্দে পুরো দিন কাটিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ৩৭৪ জন শিক্ষার্থীর সকলে মঞ্চে গিয়ে অতিথিদের থেকে সনদ গ্রহণ করেন। অর্জিত সনদ হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন শিক্ষার্থীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক এমপি এমএ লতিফ একদিনের রিমান্ডে
পরবর্তী নিবন্ধবৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে ১০০তম অবস্থানে বাংলাদেশ