নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালের মঞ্চটা ভালো করেই চেনা সুইডেনের। চলতি আসরসহ ৫ বার তাদের দেখা গেছে শেষ চারে। এর মধ্যে ২০০৩ সালে দেশটি রানার্সআপও হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে সুইডেন যেভাবে উড়ছিল, তাতে নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অনেক ফুটবলবোদ্ধা নামটি ধরেই নিয়েছিল। শেষ ষোলোতে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা যুক্তরাষ্ট্র ও কোয়ার্টার ফাইনালে আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন জাপানকে বিদায় করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথটা যেন পরিষ্কারই করে ফেলেছিলেন সুইডিশ মেয়েরা। কিন্তু উড়তে থাকা সুইডেনকে মাটিতে নামতে হলো তাদের অতি পরিচিত সেমিফাইনালমঞ্চ থেকেই। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে স্পেন ২–১ গোলে সুইডেনকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উঠে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। আজ বুধবার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের বিপক্ষে ২০ আগস্ট শিরোপার জন্য লড়বে স্পেন। স্পেনের পুরুষ দল বিশ্বকাপ জিতেছে সেই ২০১০ সালে। কিন্তু নারীরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। এবার তাদের সামনে এসেছে সে সুযোগ। শুধু তাই নয় কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের কাছে জাপানের বিদায়ের পরই নিশ্চিত হয়েছিল নারী বিশ্বকাপ পেতে যাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। আর সেই নতুনের তালিকায় স্পেন উঠে আসলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। গ্রুপ পর্বে ইতালি–আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিয়ে দাপটের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠেছিল সুইডেন। এর পর তাদের শিকার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সুইডিশ মেয়েরা আর পেরে উঠলনা স্পেনের মেয়েদের সাথে। নিউজ্যিলান্ডের অকল্যান্ডের ইডেনপার্কে শেষ ১০ মিনিটে হওয়া ৩ গোলে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে যায় স্পেন। খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিল গোলশূন্য। পরের মিনিটেই স্পেন এগিয়ে যায় সালমা সেলেস্তার গোলে। ৮৮ মিনিটে রেবেকা মারিয়ার গোল ম্যাচে ফিরিয়ে আনে সুইডেনকে। তখন ধরেই নেওয়া হয়েছিল প্রথম সেমিফাইনাল গড়াচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু নির্ধারিত নব্বই মিনিটের মধ্যেই সব শেষ করে দেয় স্পেন। সুইডেন ম্যাচে ফেরার পরের মিনিটেই ওলগা কারমোনার গোল স্পেনকে নিয়ে যায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে।












