উইমেন’স ইউরোর শিরোপা আবারো নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ১২০ মিনিটের লড়াই ১–১ গোলে শেষ হয়। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে স্পেনকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করে ইংল্যান্ড। বল দখলে ও আক্রমণে দাপট দেখায় কিন্তু স্পেন। অধরা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গোল করে এগিয়েও যায় তারা। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টেনে নেয় ইংল্যান্ড। পরে টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে তারাই। ধরে রাখল শিরোপা।
দুই বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হারলেও, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জিতে শিরোপা উৎসব করল ইংল্যান্ডের মেয়েরা। ১৯৮৪ সালে প্রথম আসরের পর এবারই প্রথম টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো উইমেন’স ইউরোর ফাইনাল। টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। বেথ মিড পা পিছলে পড়ে গিয়ে ‘ডাবল টাচে’ বল জালে পাঠানোর পর পুনরায় শট নিতে হয় তাকে। এবার তার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক। তবে ইংল্যান্ডের পরের চার শটের তিনটিই খুঁজে পায় জাল। জার্মানির বিপক্ষে সেমি–ফাইনালে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া বার্সেলোনা তারকা আইতানা বনমাতিসহ স্পেনের তিন জন টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন। যার দুটি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ২০২৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের পর, এবার প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরাই রয়ে গেল স্পেনের মেয়েদের। অন্যদিকে, তৃতীয় দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় একাধিক শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ডের মেয়েরা। তাদের মতো দুইবারের শিরোপা জয়ী নরওয়ে। আর রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। মূল ম্যাচে প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রেখে গোলের জন্য ২২টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্পেন। ইংল্যান্ডের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল। ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। বক্সে ডান দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তে। বিরতি থেকে ফিরে ৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বদলি নামা কেলির ক্রসে বঙে হেডে গোল করেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড অ্যালেসিয়া রুশো। এরপর আক্রমণ পাল্টা–আক্রমণে লড়াই চালিয়ে যায় দুই দল। তবে গোলের দেখা আর মেলেনি। এরপর টাইব্রেকারে স্পেনের স্বপ্ন ভেঙে উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড।