সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। বাফুফে অবশ্য আর্থিক সংকটের অজুহাতে গত ১০ মাস সাবিনাদের দাবি পূরণ করতে পারেনি। অবশেষে নারী ফুটবলারদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে বাফুফে। জাতীয় দলের ৩১ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে বাফুফে তাদের বেতন বাড়িয়েছে। সাবিনাদের দাবি ছিল ৫০ হাজার টাকা করে বেতন। আর সে দাবি পুরন করেছে বাফুফে। সাবিনাসহ ১৫ জন ফুটবলারকে মাসে ৫০ হাজার টাকা করেই বেতন দেবে ফেডারেশন। গতকাল বুধবার বাফুফে ভবনের সভাকক্ষে নারী ফুটবলারদের ডেকে এনে তাদের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বাফুফে। ৩১ ফুটবলারের মধ্যে ১০ জন বেতন পাবেন ৩০ হাজার টাকা করে। বাকি ৬ ফুটবলারের বেতন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বাফুফের এই চুক্তি ৬ মাসের জন্য। কার্যকর হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
আগে সাবিনা খাতুন বেতন পেতেন ২০ হাজার। বাকিরা পেতেন ১০ হাজার টাকা করে। এখন ৫০ হাজার টাকা করে যারা বেতন পাবেন তাদের মধ্যে ১৪ জনের বেতন বাড়লো ৫ গুণ। বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি মেয়েদের হাতে কঠোর আচরণবিধিও ধরিয়ে দিয়েছে বাফুফে। পান থেকে চুন খসলে অনুশীলন বর্জন, বাফুফেকে না জানিয়ে কোথাও খেলতে যাওয়া– এসব চলবে না এখন থেকে। কোনো ফুটবলার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাকে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হবে বলেও চুক্তিপত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাফুফে। অর্থের অভাবে এই মেয়েদের অলিম্পিক বাছাই খেলতে পাঠাতে পারেনি বাফুফে। তাহলে এখন এই বেতনের অর্থের জোগান আসবে কোথা থেকে ? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ফিফার ফান্ড ও স্পন্সর থেকে মেয়েদের বেতনের টাকা দেবেন তারা।