নারী জামানতকারী দেখিয়েও ঋণ নিতে পারবেন নারীরা

| মঙ্গলবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কেবল পুরুষ নয়, নারীকেও জামানতকারী দেখিয়ে ঋণ নিতে পারবেন নারী উদ্যোক্তারা। দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এই আশ্বাস দেন। খবর বাংলানিউজের।

সৌজন্য সাক্ষাতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন নারী উদ্যোক্তারাও। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনা এবং সম্প্রসারণের জন্য নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তি এখনও ততটা সহজ হয়নি। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোরও উৎসাহ কম দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এছাড়া ঋণ পাওয়ার জন্য একজন নারী উদ্যোক্তাকে তার বাবা, ভাই কিংবা স্বামীকে জামানতকারী হিসেবে দেখাতে হয়। কোনো নারীকে জামানতকারী হিসেবে দেখালে ব্যাংকগুলো সেটি গ্রহণ করতে চায় না উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে কামনা করেন। একই সাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী বান্ধব গভর্নর উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে করোনা মহামারির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং ইউক্রেনরাশিয়া যুদ্ধজনিত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে আর্থিক ও নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পলিসি সহায়তার কারণে করোনা মহামারির ধকল সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে এবং সে সাথে ইউক্রেনরাশিয়া যুদ্ধজনিত ধকল সন্তোষজনকভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। এ সময় সুদের হার না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে সুদের হার বৃদ্ধি না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সুদের হার বৃদ্ধি করা হলে ব্যবসা খরচ বেড়ে যাবে এবং স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমির্জাপুর ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার দিবস উদ্‌যাপন
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউ পরিদর্শনে ইউজিসি প্রতিনিধি দল