সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নারী। নারীর যত্নের ছোঁয়া ভালোবাসা স্নেহ মমতা ব্যতিত জীবন সংসার অচল। তাই প্রতিদিনই নারী দিবস। সমাজের কুসংস্কারের যাঁতাকলে আবদ্ধ নারী। বংশের বাতি নয় বলে, অবহেলার দৃষ্টিকোণ নারীই দিকেই ধাবিত হয়েছে আজীবন। শহরে ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নারীর শতভাগ অংশ গ্রহণ লক্ষণীয়। কর্মজীবী মহিলা বাদেও, যিনি গৃহিণী তিনিও সন্তানকে সুষ্ঠ ভাবে লালন পালন করে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সহায়তা করছেন। নারী মানসিকভাবে একজন শক্তিমান মানুষ। যেকোনো দুঃসময় কে অতিক্রম করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো দুঃসাহসী মনোবল ও ধৈর্য্য রাখে। তাঁর আছে অনন্ত শক্তির আধার, যে নানা বঞ্চনা অপবাদ সহ্য করে নিজের যোগ্যতা ও অবস্থানকে সুদিনের অপেক্ষায় থাকেন ও বিজয়ের হাসি হাসেন। নারীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা শুধু নয়, মজুরি বেতন, কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমাজে সকল শ্রেণিতে সমান মর্যাদা যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণের সুযোগ সৃষ্টি অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না পারিবারিক, সামাজিক বাঁধা সহ নানান জটিলতার কারণে। নারী পুরুষ কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী নন। ব্যক্তি অধিকারের ক্ষেত্রে নারী চায় সমতা। মানুষ হিসেবে ন্যায্য অধিকার ও সম্মান। বিয়ের পর পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা ও অসহযোগিতার কারণে বেশির ভাগ মেয়েই মেধা বিকাশের সুযোগ হতে বঞ্চিত হয়। নারীর কর্মক্ষমতা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন, সুযোগ বৃদ্ধি ও সর্ব ক্ষেত্রে অধিকার সহিংসতা রোধ, লিঙ্গবৈষম্য দূর করে শিল্প–সাহিত্যসহ সর্বক্ষেত্রে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে স্বীকৃতি দান করতে সমাজের সকল শ্রেণির আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।












