নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত এবং শ্রীলংকার মেয়েরা। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ৭৪ রানে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শেষ বলের রোমাঞ্চে পাকিস্তানের মেয়েদের ১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় শ্রীলংকা। ফলে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখা হলো না।
প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের সামনে দাড়াতেই পারেনি থাইল্যান্ডের মেয়েরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় ভারত। ১৪ বলে ১৩ রান করা স্মৃতি মান্ধানা ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। এরপর অবশ্য ভারত তেমন বড় জুটি গড়তে পারেনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে শেফালি ভার্মার ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩০ বলে ৩৬ রান করেন হারমানপ্রিত কৌর। থাইল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন সোরনারিন টিপোচ। জবাবে ব্যাট করতে নামা থাইল্যান্ড শুরু থেকেই ছিল চাপে। ২১ রান তুলতেই তারা হারায় চার উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭৪ রান করতে সক্ষম হয় থাই মেয়েরা। দলের পক্ষে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন নারোইমল চাওয়ী। এছাড়া ২৯ বলে ২১ রান করেন নাত্তায় বুচাথামও। ভারতের পক্ষে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন দ্বীপ্তি শর্মা। প্রথম সেমিফাইনালটা এক তরফা হলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালটা হয়েছে একেবারে রোমাঞ্চ জাগানো। যেখানে লংকানদের জয় মাত্র ১ রানের। টস জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলংকা ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায়। ১১ বলে ১০ রান করে নিদা ধারের বলে বোল্ড হয়ে অধিনায়ক চামিরা আতাপাত্তু ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এছাড়া ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার আনুস্কা সানজায়ানি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হার্শিতা সামারাবিক্রমা। ৪১ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। আর তাতে ১২২ রানে গিয়ে থামে শ্রীলংকার ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন নাসরা সিন্ধু।
১২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তান এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাচ্ছন্দ্যেই। ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন মুনিবা আলি ও সিধরা আমিন। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু ৭ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা। ফলে ১ রানের বেদনাদায়ক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।