কন্যা সন্তান বা নারী হয়ে এই সুন্দর পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া আমি মনে করি অনেক সৌভাগ্যের, কারণ কন্যা শিশু পিতার সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। একজন নারী এক–একটি পরিবারের রাজলক্ষ্মী, যেমন–কারও পরিবারের স্বামী অসুস্থ তখন একজন সর্বত্যাগী নারীই সব কিছুর হাল ধরে।
হয়তো স্বল্প বেতনের আয় হয় তখন একজন গৃহিণী সংসারের হাল ধরে, অনেক সময় এমন এমন কিছুর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় যা ঐ নারীকই হজম করতে হয়। কাউকে যে মনের শান্তির জন্য বলতে যাবে তার ও উপায় নেই, পাছে লোকে বসে থাকে কখন আমার বা আপনার কিছু রস গন্ধ পায় তখন বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেয়ে মজাটা নেয় মনের তৃপ্তি ভরে, আমি যা লিখছি আপনাদের অবগত আছে। তারপরও কেন জানি একজন নারীও আজ পর্যন্ত তার হৃদয়ের স্পন্দনের আর্তনাদ মন খুলে বলতে পারেনি।
আমরা বাঙালি নারীরা এখনো পুরুষ শৃঙ্খল থেকে অবমুক্ত হতে পারিনি, হয়তো কয়জন পেরেছে কিন্তু তলিয়ে দেখতে গেলে বুঝা যায় ঐ পরিবারের কেউ সুখি না। নারীরা হয়তো বাইরের দিকে দেখায় তারা অনেক সুখী্ বাস্তবে অনেক কঠিন। তারপরও একজন নারী অনেক বাস্তব জীবন লড়িয়ে যায় পরিবারের সবাইকে সুখে শান্তিতে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়। এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণীও নিজের মত করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। তাই নারীর একান্ত স্বাধীনতা লাভ পাবে কি না সন্দেহ আছে, নারীর স্বাধীনতাকে আমরা নারীরাই বিকৃত ভাবে উপহাস করি, সেই জানে না সেও বিকৃত উপহাসের মধ্যে পড়ে, হয়তো মনে মনে ভাবে আমি শিক্ষিত স্বনির্ভর, কিন্তু একটা কথা থেকেই যায়। আমরা অনেকে নারীর স্বাধীনতার বিপক্ষে আমরা নিজেরাই।