চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানাধীন এলাকার পাহাড়তলীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মধ্য বয়সী এক ব্যক্তিকে বাসায় ডেকে নিয়ে সর্বস্ব লুট করার পর খুন করেছে রুনা আক্তার (৩৫)। এ ঘটনায় রুনা আক্তার প্রকাশ বিলু (৩৫) ও তার সহযোগী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজান (৫০) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজন স্বামী-স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মে) পাহাড়তলী বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পার্শ্বে সুলতান সাহেবের এক তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে রনজিৎ দত্ত নিলক (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নিলক জিসকা ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানির রিপ্রেঞ্জটিভ পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পটিয়া জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে পাহাড়তলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এর মাধ্যমে ডবলমুরিং থানা পুলিশ জানতে পারে যে, পাহাড়তলী বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পার্শ্বে সুলতান সাহেবের ১তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ছাদে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক থানার টহল টিমে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক সোগকে খবর পৌঁছানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে নিহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিএমপির বিভিন্ন থানায় ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করেন।
এর আগে ৯ মে নিহতের স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার (৪৯) তার স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানা ও আকবরশাহ থানায় যোগাযোগ করেন। পরে জানতে পারেন ডবলমুরিং থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছেন। পরে তিনি থানায় এসে মরদেহটি তার স্বামী বলে শনাক্ত করেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মো. রফিক বলেন, ঘটনার দিন রনজিৎ দত্ত নিলক রুনা আক্তারের বাসায় যায়। সেখানে তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তার কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। উক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনে রনজিৎ অচেতন হয়ে পড়লে আসামীদ্বয় তাকে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।