বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নারী। তাদের উন্নয়ন- কেবল তাদের পরিবারের নয়, একইসাথে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন। এ উপলব্ধি থেকে নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের ওপর সরকার অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনেপ্রাণে নারী-পুরুষের সাংবিধানিক অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং নারী-পুরুষের সমঅধিকারে বিশ্বাস করতেন। নারী-পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে না এলে কোনো দেশের উন্নতি সম্ভব নয়, তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন- ‘নয়াচীনের মেয়েরা আজকাল জমিতে, ফ্যাক্টরিতে, কল-কারখানাতে, সৈন্যবাহিনীতে দলে দলে যোগদান করছে। সত্য কথা বলতে গেলে, একটা জাতির অর্ধেক জনসাধারণ যদি ঘরের কোণে বসে শুধু বংশবৃদ্ধির কাজ ছাড়া আর কোনো কাজ না করে তা হলে সেই জাতি দুনিয়ায় কোনো দিন বড় হতে পারে না। নয়াচীনে পুরুষ ও নারীর সমান অধিকার কায়েম হওয়াতে আজ আর পুরুষ জাতি অন্যায় ব্যবহার করতে পারে না নারী জাতির ওপর।’ একই গ্রন্থে তিনি এও বলেছেন-‘নয়াচীনের উন্নতির প্রধান কারণ পুরুষ ও মহিলা আজ সমানভাবে এগিয়ে এসেছে দেশের কাজে। সমানভাবে সাড়া দিয়েছে জাতি গঠনমূলক কাজে। তাই জাতি আজ এগিয়ে চলেছে উন্নতির দিকে।’
দেশের সর্বোচ্চ আইন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০, ১৯, ২৭, ২৮ এবং ২৯ এর মাধ্যমে নারীর সমান অধিকার ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেই নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের সংবিধানে নারীকে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতা চলছে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির মূল ভিত্তি- নারীর শিক্ষা। নারী শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে জাতির পিতা নারীর জন্য চালু করেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণশিক্ষা কার্যক্রম। নারীরা ব্যাপকভাবে এতে অংশ নেন। বিগত এক দশকে নারী শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ২০০৯ সালে ছিল ৫৪.৩ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা ৬৯.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯, ৬৫(২) এবং ৬৫(৩) এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার কাঠামোতে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অবস্থার উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নারীদের এ সাংবিধানিক অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যেমনঃ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছিলেন। বদরুন্নেসা আহমেদ, আমেনা বেগম, জোহরা তাজউদ্দীন এই নামগুলো উল্লেখযোগ্য, যারা সরাসরি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। পাশাপাশি, জাতির পিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভেবেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি মন্ত্রিসভায় দুজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তারা ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অধ্যক্ষ বদরুন্নেসা আহমেদ এবং সমাজকল্যাণে বেগম নূরজাহান মুরশিদ।
বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- সমাজে নারীর অংশগ্রহণ এবং সুযোগ বাড়ানোর জন্য ’৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু সরকার সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেন। উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকার সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সিডও সনদের বহু আগেই ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সর্বস্তরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। নারীর অগ্রযাত্রা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন-কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান ও নারীর অগ্রযাত্রা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার অসমতা দূরীকরণে নারীর মানবিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উপকার বৃদ্ধি, কন্ঠস্বর ও প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কৌশলগত উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন এর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, বিভিন্ন নীতিমালা, বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা এবং বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সহজ শর্তের ক্ষুদ্রঋণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ছাড়াও অসহায়-অবহেলিত-প্রতিবন্ধী নারী ও দরিদ্র কর্মজীবী মায়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইনি কাঠামো প্রণয়ন এবং জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে রাজনীতি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/ মাননীয় স্পীকার/ বিরোধী দলীয় নেত্রী/ নির্বাচিত সংসদ সদস্য/ স্থানীয় সরকার), সরকারি চাকরি (প্রশাসন/ কূটনীতি/ সেনাবাহিনী/ পুলিশ/ বিচার), শিক্ষা (ভিসি/ প্রো-ভিসি/ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান), সংস্কৃতি, ক্রীড়া, ব্যাংকিং, ব্যবসাসহ সকল শ্রেণি-পেশা আজ নারীর পদচারণায় মুখরিত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামপ্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উচ্চতর করার সাথে সাথে আর্থ-সামাজিক খাতে বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশ বিপুল অগ্রগতি অর্জন করেছে। সংবিধানের আলোকে সমতা, সাম্য এবং উন্নয়নসহ সকল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সফলতা অর্জন করেছে ও উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দারিদ্র্য হার হ্রাস, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় জেন্ডার সমতা আনয়ন, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুর হার হ্রাস, পাঁচ বছরের নীচে শিশু-মৃত্যু হ্রাস, টিকা দানের কাভারেজ বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষ অবস্থানে আছে। বিশেষ করে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র নারীর সম্পৃক্তির বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমশ উন্নতি লাভ করছে। আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সূচকের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সমতা বজায় রাখার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ-২০১৮-এর প্রতিবেদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জেন্ডার সমতায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নারীর স্বাস্থ্যগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সফলতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ নবজাতক ও শিশুমৃত্যু হ্রাসের জন্যে এমডিজি পুরস্কার, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা প্রদানের জন্য সাউথ-সাউথ পুরস্কার, দারিদ্র্য বিমোচনে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য ‘এচিভম্যান্ট ইন ফাইটিং পভার্টি’ পুরস্কার, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সাফল্যের জন্য ‘উইম্যান ইন পার্লাম্যান্টস গ্লোবাল ফোরাম’ পুরস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ পুরস্কার, নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক অবদান রাখার জন্য ‘এজেন্ট অফ চেঞ্জ’ পুরস্কার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ মহিলা সংস্থা কর্তৃক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যম্পিয়ন’ পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব নারী সম্মেলনে নারীর অধিকার সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে ভূমিকা পালনের জন্য ‘গ্লোবাল উইম্যান লীডারশীপ’ পুরস্কার, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধিতে ভূষিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; আঞ্চলিক পর্যায়ে যোগসূত্র স্থাপন ও অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোর কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অফ হিউমিনিটি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্যে অনুপ্রেরণাদায়ী নারীনেতাদের তালিকায় এসেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারী সাফল্যের সংগে মোকাবেলার স্বীকৃতি হিসেব নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিকা আর্ড্যান ও বারবাদোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমর মোতলীর সাথে উঠে এসেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে কমনওয়েলথের একটি বিশেষ ঘোষণায় এই তিন নারী প্রধানমন্ত্রীকে সাফল্যের স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল ক্রাইটেরিয়া পূরণ করেছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সুপারিশ প্রদান করেছে। ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ সাল বাস্তবায়ন সহজ হয়। সমপ্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে উচ্চ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এক বৈঠক- ‘ফোর্থ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উইমেন’ এর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “প্রতিটি মেয়ের কাছ থেকে বিশ্ব উপকৃত হতে পারে যার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে উপলব্ধি করা গেছে, প্রতিটি নারী যাদের মেধা অবিকশিত এবং কেবল শিক্ষার মাধ্যমেই এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব। ২৫তম এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে এ উন্নীত করার অঙ্গীকার করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি বিশেষ করে নারীদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। মহামারির এই সময়ে নারীরা বৈষম্য এবং বেড়ে যাওয়া পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ কারণে নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের কষ্টার্জিত অর্জন হুমকির মুখে।” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে ১৯৯৫ সালের বেইজিং ডিক্লারেশন এন্ড প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন একটি বড় ধরনের রোডম্যাপ তৈরি করেছে। এটি নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে বদলে দিয়েছে এবং ইতিবাচক উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। তখন থেকে প্রায় সকল দেশ- নারী ও মেয়েদের সুরক্ষায় আইনী কাঠামো গঠন করে। ২০৩০ এজেন্ডাও নারী ক্ষমতায়নকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা যেহেতু ‘ডিকেড অব অ্যাকশনে’ প্রবেশ করেছি, তাই আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি নবায়ন করতে হবে এবং নারী-পুরুষের সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।”
লেখক : প্রাবন্ধিক; সরকারের যুগ্মসচিব, বর্তমানে সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য), বাংলাদেশ চা বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।