বঙ্গবন্ধু দুস্থ মহিলাদের কল্যাণের জন্য ১৯৭২ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের পুনর্বাসনে গঠন করেন নারী পুনর্বাসন বোর্ড। এই বোর্ডটি স্বায়ত্তশাসিত এবং বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হন বিচারপতি কে. এম. সোবহান। অধ্যাপক ড. নীলিমা ইব্রাহিম, এডভোকেট মমতাজ বেগমের মতো তৎকালীন ১১জন প্রখ্যাত শিক্ষক–নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক কর্মী ওই বোর্ডের সদস্য ছিলেন। নির্যাতিত বিপুলসংখ্যক নারীর পুনর্বাসনে এই বোর্ড অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তারা দিনরাত পরিশ্রম করে নির্যাতনের শিকার নারীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তালিকা করেন এবং জরিপের মাধ্যমে সঠিক তথ্য আহরণ করে তাদের জন্য বৃত্তিমূলক কাজের এবং পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। এই বোর্ডের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ১. নির্যাতিতা নারীদের প্রয়োজনীয় ঔষধ ও ডাক্তারি সহায়তা প্রদান ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও গণহত্যার শিকার সকলের মা–বোন ও বিধবাদের সহায়তা করা ২. পুনর্বাসন বোর্ডের আওতায় দুস্থ নারীদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং সেলাইসহ নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বোর্ডের উদ্যোগে ঢাকার বেইলি রোডে প্রতিষ্ঠিত হয় উইমেনস ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এখানে নারীদের শর্টহ্যান্ড, অফিস ব্যবস্থাপনা, টাইপিং প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মোহাম্মদপুরে ব্যবস্থা করা হয় সেলাই ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণের। তাছাড়া সাভারে সরকারি উদ্যোগে পোল্ট্রি খামার প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই বোর্ড থেকে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা ও নির্যাতিতা নারীদের জন্য সরকারি ভাতা ও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক নারীকে ২০০০ টাকা প্রদান করেছিল সরকার।
ঢাকার ধানমন্ডিতে যে পুনর্বাসন কেন্দ্রটি ছিল তা পরিচালনা করতেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তাঁদের জন্য আশ্রয় ও ভাতার ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, নারীদের উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করা, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য বৃত্তিপ্রথা চালুসহ নানাবিধ কাজ করেছিলেন তিনি। বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিজ উদ্যোগে ১০ জন বীরাঙ্গনার বিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯৭৪ সালে কল্যাণমূলক কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ড’কে সংসদে আ্যক্টের মাধ্যমে ‘নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন’– নামকরণ করা হয়। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথটি তৈরি হয়। এই সময় নারী উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গৃৃহীত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১। জেলা ও থানা পর্যায়ে ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা। ২। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত করা। ৩। নারীকে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে নিয়োজিত করে তাদের পণ্যের বিক্রয় ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা এবং দিবাযত্ন কেন্দ্র চালু করা। ৪। ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের চিকিৎসা সেবা চালু করা এবং তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বৃত্তিপ্রথা চালু। এটি বর্তমানে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আওতায় ‘দুস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল’ নামে পরিচালিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে বলতেন, নারীর নিজস্ব আয় থাকলে পরিবারেও সম্মান বাড়ে। যদি তার সামান্য কিছু টাকাও থাকে পরিবারে তার গুরুত্ব বাড়ে এবং পরিবার তাকে সম্মানের চোখে দেখে। বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন পরিবার থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন শুরু করতে হবে। তিনি বাংলাদেশে প্রথম নারী সংগঠন জাতীয় মহিলা সংস্থার ভিত্তি রচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয় জাতীয় মহিলা সংস্থা। এই প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চালু করা হয় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। গ্রামীণ নারীরা কৃষিকাজে যুক্ত ছিলেন বলেই তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবেন। এই লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে সাভারে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের ৩৩ বিঘা জমির ওপর চালু করা হয় কৃষিভিত্তিক কর্মসূচি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির মূল ভিত্তি নারীর শিক্ষা। নারী শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে জাতির পিতা চালু করেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণশিক্ষা কার্যক্রম। নারীরা ব্যাপকভাবে এতে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে প্রাণে নারী–পুরুষের সমঅধিকারে বিশ্বাস করতেন। নারী–পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে না এলে কোনো দেশের উন্নতি সম্ভব নয়, তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
শিশু ও কিশোরীদেরকে আত্মমর্যাদাবোধ প্রতিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান গার্লস গাইড এসোসিয়েশনকে ঢেলে সাজান। স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশনকে পুনর্গঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে দায়িত্ব দেন (সাবেক সংসদ উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য)। বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে গৃহীত প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নারীদের অর্থকরী কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম আন্ত:খাত উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পঞ্চবার্ষিক (১৯৭৩–৭৮) পরিকল্পনায় স্বাধীনতাযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহীত হয়। শহীদের স্ত্রী ও কন্যাদের জন্য চাকরি ও ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। নারীদের পরিবহনের জন্য ১৯৭৩ সালে ঢাকায় পৃথক বাস সার্ভিস চালু করা হয়। বিআরটিসি ঢাকার দুটি রুটে মহিলাদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করে।
পাকিস্তান আমলে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘অল পাকিস্তান উইমেন অ্যাসোসিয়েশন’ (আপওয়া) ১৯৭২ সালে ‘বাংলাদেশ মহিলা সমিতি’ নামে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। মহিলা সমিতি ১৯৭২ সালের ৮ই মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করে। ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনে বাংলাদেশের নারী প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এভাবে বৈশ্বিক নারী উন্নয়ন আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের নারী সমাজ যুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে মহিলা উন্নয়নের অবকাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’ প্রতিষ্ঠার সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয় জাতীয় মহিলা সংস্থা। জাতীয় মহিলা সংস্থায় এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বললেন, “আজ থেকে ধর্ষিতা মেয়ের বাবার নামের জায়গায় লিখে দাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ঠিকানা লেখ ধানমন্ডি ৩২। মুক্তিযুদ্ধে আমার মেয়েরা যা দিয়েছে সেই ঋণ আমি কীভাবে শোধ করব?”
১৯৭২ সালে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে সংবিধান অর্থাৎ শাসনতন্ত্র তিনি রচনা করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নারী–পুরুষের সমঅধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নারী নেতৃত্ব যাতে গড়ে ওঠে সে জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১৫ টি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা রাখেন।
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের সংবিধানে বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করেন। যেমন: অনুচ্ছেদ ১৯(১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে। অনুচ্ছেদ ২৭) সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী। অনুচ্ছেদ ২৮(১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী–পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না। অনুচ্ছেদ ২৮(২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন। অনুচ্ছেদ ২৮(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী–পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্বাসের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না । অনুচ্ছেদ ২৮(৪) নারী ও শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যেকোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান–প্রণয়ন করিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না (অনুচ্ছেদ ২৯(১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। অনুচ্ছেদ ২৯(২) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী–পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের অযোগ্য হইবে না। কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না। বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশের জন্য সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদে নারীর জন্য জাতীয় সংসদের আসন সংরক্ষিত রাখা হয়। সংরক্ষিত আসনে ১৫ জন নারী সদস্য নিয়ে প্রথম সংসদের যে যাত্রা শুরু, পরবর্তীকালে তা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ জনে উন্নীত হয়। এ ক্ষেত্রে ৬৫(২) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত ৩০০ আসনেও নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুসলিম নারীদের বৈবাহিক জীবন মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিতে ১৯৭৪ সালে প্রণীত হয় ‘মুসলিম ম্যারেজ ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট’, যার মাধ্যমে মুসলমান নারী–পুরুষের বিয়ে ও তালাকের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়। নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করায় নারী শিক্ষার প্রসার ঘটে। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২৪,৬০০ নারী শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্য ধার্য করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ফলে নারী শিক্ষকের সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি পায়। নারী উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নারীদের জন্য কারিগরি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ তথা তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীর অংশ গ্রহণ, ক্ষমতায়ন ও অধিকারের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন– তা বাস্তবায়ন করছেন। বঙ্গবন্ধু নারী ক্ষমতায়নের যে ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন তার উপরই দাঁড়িয়েই বাংলাদেশের নারীরা অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ‘রোল মডেল‘। শুধু সংসদেই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী শীর্ষস্থান দখল করে আছে সগর্বে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
লেখক : শিক্ষাবিদ; উপাচার্য, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।