কথাটা একদম খাঁটি যে প্রত্যেকটি মানুষের সাফল্যের পেছনেই রয়েছে একজন নারীর আত্মত্যাগের কাহিনি যারা প্রায় সময় থেকে যায় পর্দার পেছনেই। সেই নারী হতে পারে মা–বোন অথবা স্ত্রী। তাদের এই সার্পোঁ ছাড়া পুরুষ শান্তি পায় না, প্রেরণা পায় না, সামনে কদম রাখার শক্তি পায় না। তাদের ছোঁয়ায় পুরুষ বদলে যায়, পরিপক্ব হয়। এই রমজানেও তারা এগিয়ে। তারা নামায রোজা ও কোরআন তেলওয়াতে খুব পারদর্শী। এটা বেশি পরিলক্ষিত হয় বিশেষ করে গ্রামে। তাদের মধ্যে বাড়ির অন্য মহিলার সাথে কোরআন তেলওয়াতের একটা প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে রমজানে। তাছাড়াও সেহেরিতে সবার আগে উঠে সব কাজ করে, সবাইকে ডেকে খাওয়ায়ে সবার পরে ঘুমায়। আবার ঠিক সময়ে হরেক রকম ইফতারি বানায়ে রেডি করে রাখে। আসুন না এদের জন্য আল্লাহ সোবহান ওয়া তায়লার দরবারে দুই হাত তুলে একটু অন্তর থেকে দোয়া করি এবং নিরাপদ পৃথিবী ব্যবস্থা করি। আফসোস, যারা আমাদের জন্য এতোকিছু করছে, তারাই আজ নিরাপদ নয়। ঘর থেকে বের হতেই তাদের পা কাঁপছে। তাদেরকে নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। শকুনদের ভয়ে তারা প্রতিটা সেকেন্ড অনিরাপত্তায় ভুগছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এই নরপিশাচদের। মনে রাখতে হবে পরিবারের প্রতিটা নারী সদস্য একেকটা ফুল। এই ফুলগুলোকে অকালে ঝরতে দেওয়া যাবে না। যেকোনো মূল্যে এদেরকে বাঁচাতে হবে, এদের পাশে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এরা নিরাপদ থাকলেই দেশ নিরাপদ। যদি আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মন–মানসিকতা উন্নত করতে না পারি, তাহলে এই সমাজ উন্নত হবে না। তখন নারীরা থেমে যাবে। আর ওরা থেমে গেলে, থেমে যাবে উন্নয়ন, থেমে যাবে দেশ।