নারীদের নিরাপত্তা চাই

| সোমবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

বিংশ শতাব্দীতেও আমরা নিজেদের সভ্য সমাজ বলে দাবি করি, কিন্তু বাস্তবতায় নারীর নিরাপত্তাহীনতা আমাদের সেই দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় পুরুষ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, নারীর অবদানও তেমনই অনবদ্য। আজ বাংলাদেশের নারীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য অর্জন করছে, জাতীয় পুরস্কার এনে দেশের মান উজ্জ্বল করছে। তবুও এই দেশেই তারা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে।

দুঃখের বিষয়, আমাদের সমাজের অনেক স্থানেই নারী এখনো শালীনভাবে চলাফেরা করার নিশ্চয়তা পায় না। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব বা বোরকা পরার কারণে নারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়; কখনও কখনও বাধ্য করা হয় ক্যাম্পাসত্যাগে। এটি শুধু অসাংবিধানিকই নয় মানবাধিকারের পরিপন্থীও।

নারীরা শারীরিকভাবে তুলনামূলক দুর্বল হওয়ায় তাদেরকে র‌্যাগিং, যৌন হয়রানি, কিংবা অবমাননাকর আচরণের শিকার হওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়।

সরকারকে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। হয়রানি, সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরে নারী পুরুষ সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নারী নিরাপদ হলে সমাজ নিরাপদ হবে। আর সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব।

আজমাইন ইকতিকার শাফি

শিক্ষার্থী, বাকলিয়া সরকারি কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখান সারওয়ার মুরশিদ : মননের আলোকবর্তিকা
পরবর্তী নিবন্ধবর্তমানে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রাচীন ফলগুলো