চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে গত ৯ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্বব্যাপী, ইভেন্টটির এই বছরের থিমটি হলো ‘নারী এবং মেয়েদের জন্য রিং দ্যা বেলঃ অধিকার, সমতা এবং ক্ষমতায়ন ’। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে সারা বিশ্বজুড়ে স্টক এক্সচেঞ্জগুলি জাতিসংঘের সাসটেইনেবল স্টক এক্সচেঞ্জেস ইনিশিয়েটিভ (Sustainable Stock Exchanges Initiative), ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ এক্সচেঞ্জেস (World Federation of Exchanges), ইউ এন ওমেন (UN Women), ইউএন গ্লোবাল কম্পেক্ট (UN Global Compact) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (International Finance Corration) – এই প্রতিষ্ঠান গুলির সাথে ‘রিং দা বেল’ (Ring the Bell) কার্যক্রম উদযাপন করে আসছে। ব্যবসা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য Gender Equality–এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। এছাড়াও চিফ রেগুলেটরি অফিসার, মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান, সিএফএ এবং সিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সাথে একাত্ম ঘোষণা করে সিএসইতে আমরা প্রতি বছর নারী দিবসের পালনের মাধ্যমে নতুন কমিটমেন্ট সেট করি এবং কাজের পরিবেশ আরও সুদৃঢ় করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। এক্সচেঞ্জ হিসেবে আমাদেরও অনেক দায়বদ্ধতা আছে। আর সে কারণে সিএসই তার জন্মলগ্ন থেকে ঐতিহ্যগতভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করে আসছে , একই সাথে প্রতিনিয়ত এই মান উন্নত করার সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে এবং প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির যথাযথ বাস্তবায়নে আমাদের প্রয়াস। প্রতিটি ক্ষেত্রে জেন্ডার ইকুয়ালিটি বাস্তবায়নের জন্য নারীদের জন্য সমান সুযোগ করে দিতে পারলে সামগ্রিক উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে। চিফ রেগুলেটরি অফিসার, মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান বলেন, কর্পোরেট কর্মক্ষেত্রে সেলিব্রাল ইকুয়ালিটি থাকা বেশ জরুরী, যদিও এই ব্যাপারে আমাদের দেশ এখনও বেশ পিছিয়ে তবে আশার কথা হলো সামপ্রতিক সময়গুলোতে এখানে কিছুটা পরিবর্তন দৃশ্যমান। আমরা আশাব্যঞ্জক যে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা আরও বাড়বে ও নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। সিএসইতে ইকুয়াল কাজ করার সুযোগ আছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জেনারাল ম্যানেজার এন্ড হেড অফ ইনফর্মেশন টেকনোলজি মোহাম্মেদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেককে প্রত্যেকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী সবার সম্মানটা ঠিকভাবে পাওয়াটা জরুরী । পরিসংখ্যান থেকে জানতে পারি যে, মেধার দিক থেকে এখন মেয়েরাও বেশ এগিয়ে এসছে, সুযোগ পেলে আরও বিকশিত হবার সুযোগ রয়েছে।হেড অফ ট্রেক মার্কেটিং সার্ভিসেস মো. মুর্তজা আলম বলেন, আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে রিকগনিশন বিষয়টাও থাকা জরুরী । এখনও আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে । কর্পোরেট পরিমণ্ডলে আমরা এই দিবসটি যেমন নিয়মিত পালন করছি তেমনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে ক্রমাগত পরিবর্তনের সাথে এগিয়ে যাচ্ছি। সোনিয়া হোসেন বলেন, শুধু একটি দিন নয় প্রতিটি দিনই আমাদেরকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। দিনটির উদ্দেশ্যকে অনুধাবন করে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের পরিবার থেকেই সেই পরিবেশ তৈরির দায়িত্বটা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, নারীদেরকে তার সম্মানের উপযুক্ত জায়গাটা দিতে হবে, হোক সেটা ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে। কিছুক্ষেত্রে এখনও অনেক আস্থাহীনতা দৃশ্যমান নারীদের ব্যাপারে, তাই উপযুক্ত পরিবেশ এবং সহযোগিতা পেলে সেও হবে সফল ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং সহকর্মী। এবং যাবতীয় ঝুঁকির বিষয়গুলোর নির্ধারণ করে যথাযথভাবে সেগুলোর সমাধান করতে হবে।
এছাড়া সিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দও তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।পরিশেষে নারী কর্মকর্তাদেরকে ফুল ও শুভেচ্ছা স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।