স্বকাল আয়োজিত কিশোর কবিতার পাঠ উৎসবে বক্তারা বলেছেন, নামে ‘কিশোরকবিতা’ হলেও সব শ্রেণির পাঠক এর রস আস্বাদন করতে সক্ষম। যুগ যুগ ধরে কিশোরকবিতা তার প্রকাশ ভঙ্গির সরলতার গুণে সবার কাছে প্রিয় হয়ে আছে। সরল প্রকাশ নৈপুণ্যের কারণে ‘কিশোরকবিতা’ শুধু কিশোরদের ভোগ্য নয়, সাহিত্যরসিক বয়স্ক পাঠকদের কাছেও সমান উপভোগ্য। গত চার দশক ধরে আড়ম্বরভাবে কিশোরকবিতার চর্চা শুরু হলেও এ ধারার কবিতা চিরায়ত কবিতা। বাংলা কবিতার হাজার বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে এবং আবহমান ধারাকে অক্ষুণ্ন রেখে আমাদের কবি কর্মীরা সীমাহীন প্রজ্ঞা ও পরিচর্যায় কিশোরকবিতাকে দিন দিন মর্যাদাবান করে তুলছেন।
তাঁরা বলেন, প্রতিবছরই বইমেলায় প্রকাশিত হয় বহু লেখকের কিশোরকবিতার বই। রচনা–প্রাবল্যে যেভাবে আমরা অগ্রসর হয়েছি, তেমনি রচনার মানগত চর্চায়ও ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে চাই। কবিদের কবিতার সঠিক মূল্যায়নই হবে যথার্থ অনুপ্রেরণা। তাহলে তাঁরা আগামীতে আরো ভালো কবিতা উপহার দিতে পারবেন।
গত শুক্রবার চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে উৎসবে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক সাহিত্যিক রাশেদ রউফ। স্বকাল পরিচালক কবি অরুণ শীলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন শৈলী সাহিত্য বুলেটিন সম্পাদক কবি আজিজ রাহমান। কিশোর কবিতা পাঠ করেন : অপু বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, অরুণ শীল, আকাশ আহমেদ, আখতারুল ইসলাম, আজিজ রাহমান, আনোয়ারুল হক নূরী, আবুল কালাম বেলাল, আল জাবিরী, ইসমাইল জসীম, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, এমরান চৌধুরী, ওবায়দুল সমীর, কানিজ ফাতিমা, কেশব জিপসী, গোফরান উদ্দীন টিটু, জসিম উদ্দিন খান, জসীম মেহবুব, নূরনাহার নিপা, প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, বাসুদেব খাস্তগীর, বিপুল বড়ুয়া, মর্জিনা আখতার, মিজানুর রহমান শামীম, মারজিয়া খানম সিদ্দিকা, রহমান হাবীব, রাশেদ রউফ, রাসু বড়ুয়া, লিটন কুমার চৌধুরী, সনজিত দে, সাইফুল্লাহ্ কায়সার, সালাম সৌরভ, সিতাংশু কর, সুবর্ণা দাশ মুনমুন, সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, সৈয়দ জিয়াউদ্দিন ও সৈয়দা সেলিমা আক্তার। আলোচনা করেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাসানুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক নাসের রহমান ও কবি–নাট্যজন সনজীব বড়ুয়া। এছাড়া অংশগ্রহণ করেন কাজী সামসুল আহসান খোকন, কাসেম আলী রানা, ড. সৌরভ শাখাওয়াত, লিপি বড়ুয়া, হৃদয় হাসান বাবু, কানিজ ফাতিমা লিমা, আলমগীর হোসাইন, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার, শরণংকর বড়ুয়া, ইফতেখার মারুফ, গৌতম কানুনগো, অধ্যাপক সুপ্রতিম বড়ুয়া, জলি পারিয়াল, চন্দন কুমার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।