বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নির্ধারণী নাফ নদীর তীর ধরে ৫০ কিলোমিটার বাঁধ ও ইটের সড়ক নির্মাণের প্রকল্পের ব্যয় ১৬১ শতাংশ বাড়ছে। ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী বরাবর পোল্ডারসমূহের (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন’ প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১৪১ কোটি ৬৫ টাকা। এখন তা সংশোধন করে ব্যয় ২২৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
প্রকল্পটির এই সংশোধনী অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. মামুন আল রশীদ। আরও ১৮ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ২৫টি পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো তৈরিসহ নানা কিছু যুক্ত হওয়ায় ব্যয় বাড়ছে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একজন কর্মকর্তা জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত এই প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে বাস্তবায়ন করে আসছে পাউবো। প্রথমে প্রকল্পটিতে শুধু নাফ নদীর ও বর্ষাকালের পানি ব্যবস্থাপনা করে ওই এলাকাকে বন্যা মুক্ত রাখা ও পানির উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য বাস্তবায়নের কথা ছিল।
কিন্তু পরে প্রকল্পটির মাধ্যমে পোল্ডার তৈরির পাশাপাশি বাংলাদেশ-মিয়ানমার পুরো সীমান্তজুড়ে রাস্তা তৈরি করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির টহল গাড়ি চলাচল উপযোগী সড়ক তৈরির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কঙবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটির মাধ্যমে এখন নাফ নদীর তীরের ওপর উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটারের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে ওই এলাকার নিরপত্তা ও চোরাচালান রোধ করতে হলে বিজিবির চলাচল ব্যবস্থা তথা পরিবহণের মাধ্যমে টহল ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’ তিনি জানান, বর্তমানে উখিয়ার বালুখালী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার ২৪ ফুট প্রস্থের মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এখন ওই বাঁধের উপর ইট বিছিয়ে সড়ক হবে। এতে তিনটি সেতু ও কালভার্টও নির্মাণ করতে হবে। এছাড়াও উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার বাঁধের উপর ৩৩টি পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো মেরামত ও ৪৮টি পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো অপসারণ এবং ৬টি আরসিসি বঙ আউটলেট নির্মাণ করা হবে।