টেকনাফে নাফ নদীতে এক জেলের বড়শিতে ৩৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। মাছ দুটি বিক্রি হয়েছে ৪১ হাজার টাকায়। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার জেলে নুর মোহাম্মদের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে বলে জানান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
নুর মোহাম্মদ বলেন, শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকায় নাফ নদীর মোহনায় সকালে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। বড়শি ভারী মনে হওয়ায় পাশের আরেকজনের সহযোগিতা নেন তিনি। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। এরপর তিনি আবার বড়শি ফেলেন। তিনবার বিফল হন। চতুর্থবার আরও একটি বড় কোরাল মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ২২ কেজি। পরে মাছ দুটি টেকনাফ পৌরসভার মাছ ব্যবসায়ী আজগর আলী কাছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ৪১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
মাছ ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, সমপ্রতি নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে বড় বড় কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ৩৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের কোরাল মাছ দুটি ৪১ হাজার টাকায় কিনেছি। চট্টগ্রামে দেশি বড় কোরালের বেশ চাহিদা ও দাম রয়েছে। বেশি দামে বিক্রির আশায় বরফ দিয়ে ফ্রিজিং করে মাছ দুটি চট্টগ্রাম ফিশারিঘাটে পাঠানো হবে। মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। তাই জেলেরা দামও ভালো পেয়ে থাকেন। এটি দ্রুত বর্ধনশীল মাছ। পরিবেশ ভালো পেলে এক একটি মাছ ৩০ থেকে ৩৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।