রাঙামাটির নানিয়ারচরে মংখোলা পূর্বারাম বন বিহারে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এলাকাবাসীদের আয়োজনে মহতী পূণ্যানুষ্ঠানে প্রধান পূণ্যার্থী ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। বিশেষ পূণ্যার্থী ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইলিপন চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. দর্শন চাকমা ঝন্টু প্রমুখ।
রুপায়ন চাকমার সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রিশরণসহ পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন পাহাড়িকা চাকমা ও পঞ্চশীল প্রদান করেন মঞ্চে উপবিষ্ট ভিক্ষু সঙ্ঘ প্রদান সত্য প্রেম মহাস্থবির। এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সুধর্মানন্দ মহাস্থবির, মৈত্রী লঙ্কার মহাস্থবির, করুনাকীর্তি মহাস্থবির, জ্ঞানলোক স্থবির, মংখোলা পূর্বারাম বন বিহারের অধ্যক্ষ করুনানন্দ স্থবিরসহ অন্যান্য ভিক্ষু সঙ্ঘ। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বুদ্ধ মূর্তি দান, সঙ্ঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, বিহার দান, পিণ্ডু দান, হাজার বাতি দান, আকাশ প্রদীপ দানসহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়। রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, যুগ যুগ ধরে যে উন্নয়ন হয়নি সেই উন্নয়ন আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে হচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় যতগুলো বৌদ্ধ বিহার, মন্দির, মসজিদ, নির্মিত হয়েছে আর কোনো কালে এ রকম নির্মাণ হয়নি।
দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধর্মের প্রতি আন্তরিক। ফলে বর্তমান সরকারের আমলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সুস্থভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করছে। এ সময় তিনি বিহারের সাথে এলাকাবাসীদের সংযোগস্থলে যাতায়াতের সুবিধার্থে আগামী অর্থবছরে একটি ব্রিজ, সিঁড়ি সেই সাথে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রতি বছরের ন্যায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১১টি বৌদ্ধ বিহারে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন দীপংকর তালুকদার এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। এর আগে জেলা পরিষদের অর্থায়নে অত্র বিহারে নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির ফিটা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান পূণ্যার্থীরা।