নানা নাটকীয়তার পর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

নানা নাটকীয়তার পর সাফ অনূর্ধ্ব১৯ নারী ফুটবলে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত। নির্ধারিত সময়ে দুই দলের খেলা ড্র, এরপর সাডেন ডেথে ১১ শটেও কোন ব্যবধান রচিত হয়নি। এরপর শ্রীলংকান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া রেফারিকে ডেকে এনে টসের মাধ্যমে ফাইনাল নিস্পত্তি করতে বলেন। আকস্মিক এই টসের সিদ্ধান্তে ভারত জিতে। তবে বাংলাদেশ এতে তাৎক্ষণিক আপত্তি জানায়। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা। এরপর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা ছিল ফলাফল ঘোষণার জন্য। রাত সাড়ে দশটার পর পুরস্কার প্রদান মঞ্চে সাফ সেই জটিলতার নিরসন করে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়পক্ষকে সন্তুষ্ট করে যুগ্ম শিরোপা ঘোষণা করে সাফ। টস অনুযায়ী ভারত চ্যাম্পিয়ন। বাইলজ অনুযায়ীটস হয় না, সাডেন ডেথে খেলা চলবে। ম্যাচ কমিশনার ভুল স্বীকার করে ভারতকে খেলায় ডাকে। রেফারি ৩০ মিনিট সময় দেন মাঠে ফিরে আসতে। কিন্তু তারা খেলায় আর আসেনি। এই নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা। কিন্তু টসে ভারত জেতায় এবং সিদ্ধান্ত হওয়ায় ম্যাচ কমিশনার ও সাফ মিলে মাঝামাঝি সিদ্ধান্ত নেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় ভারত। খেলার ৮ মিনিটে রক্ষণ দুর্বলতা ও গোলরক্ষকের ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। ভারতীয় মিডফিল্ডার নিতু লিন্ডার থ্রুতে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বল পান শিবানী দেবী। বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী বঙের সামনে এসে বলের নাগাল পাননি। শিবানী বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান। ৮ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল ভারতের। বঙের মধ্যে গোলদাতা শিবানী দেবী ভালো পজিশনে বল পান। তার নেয়া ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যায়। তাতে এ যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে। তবে সমতা আনার মতো সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিক দল। ৩৫ মিনিটে স্বপ্না রাণী দুই জনকে কাটিয়ে শট নিলেও তা বাইরে দিয়ে যায়। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তেমন আর উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু আক্রমণ করেও যেন গোলের দেখা মিলছিল না। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়ে যায়। ভারতের শিরোপা উদযাপনের অপেক্ষা করছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে সাগরিকা গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ ফিরিয়ে আনেন। রেফারি চার মিনিট ইনজুরি সময় দেন। এই সময়ের ৩ মিনিটে আফিদা খন্দকারের থ্রু ইন থেকে বাংলাদেশের সাগরিকা বঙের আগে জটলায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন। নিজ প্রচেষ্টায় বঙে বল নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন সাগরিকা। খেলায় আসে সমতা। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সমতা থাকলে খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানেও ১১১১ এ সমতা হয়। এরপর ম্যাচ কমিশনারের সিদ্ধান্তে টসের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। টস ভাগ্যে জয় হয় ভারতের। হারের পর এই টস নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। বাইলজে রয়েছে সাডেন ডেথে জয় পরাজয় নির্ধারণ করতে হবে। ভুল বুঝতে পেরে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন কমিশনারও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম থেকে এমপি হতে চান তৃতীয় লিঙ্গের ফাল্গুনী
পরবর্তী নিবন্ধশিরীষতলায় আজ শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা