নানা গুণের আকর ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী | সোমবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৭:২১ পূর্বাহ্ণ

ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ আপাত দৃষ্টিতে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তবে তিনি আরও অনেক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন, সেসব হয়ত সকলের জানা ছিল না, কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি নিবিড় সম্পর্কে জড়িত ছিলেন, তারা ঠিকই জানতেন। ডা. ইউসুফ জীবনে যত রকম কাজের প্রবর্তনা পেয়েছিলেন, তা হিসাব করলে তাঁকে চিকিৎসক ছাড়াও আরও যেসব পরিচয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে দেখা যায় তা হলো, তিনি এক জীবনের আঁধারে অনেক জীবনের সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ লিখতেন, সেজন্য অনায়াসে সাহিত্যিকের শিরোপা তাঁর প্রাপ্য হয়। তিনি সুরভী ও আলবদর নামে দু’টি সাময়িকী সম্পাদনা করতেন। সেটা ধর্তব্যের মধ্যে নিলে তাঁকে একজন সম্পাদক বলতেও কোনো অসুবিধা দেখিনা। তিনি সংগঠন করতেন, বিভিন্ন রকম সংগঠন, তার মধ্যে রাজনীতিও বাদ ছিল না; রাজনীতি ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন ও সমাজউন্নয়নকর্মেও লিপ্ত হয়ে যেতেন, তাঁর চরিত্রের এই দিকটিকে গণ্য করলে তাঁর মধ্যে একজন দক্ষ সংগঠকের পরিচয় পাওয়া যায়। অধুনালুপ্ত আন্দরকিল্লা ইউনিয়ন কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ খান, যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত গীতিকার ছিলেন এবং সঙ্গীতের সমঝদার ছিলেন। তাঁর বাসায় মাঝে মধ্যেই গজল ও কাওয়ালী গানের আসার বসিয়ে তিনি সঙ্গীতের রসে মজে থাকছেন। আবদুল মাবুদ খানের সঙ্গে ডা. কাজী ইউসুফের হৃদ্যতা ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে আবদুল মাবুদ খান চাইতেন এই সাহিত্যপ্রেমী মানুষটা তাঁর কাছাকাছি থাকলে ভালো হয়। সেজন্য তিনি ডা. কাজী ইউসুফকে আন্দরকিল্লা ইউনিয়ন অফিসের সেক্রেটারি করে তাঁর কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এটি ডা. কাজী ইউসুফের সামাজিক চরিত্রের একটি বিশেষ দিক।

সাহিত্যিকদের প্রতি তাঁর বিশেষ পক্ষপাত ছিল। সেজন্য সাহিত্য রসিকদের সংসর্গ এবং সাহিত্যিক পরিমণ্ডলে লীন হয়েই থাকতে ভালোবাসতেন তিনি। আন্দরকিল্লা নজির আহমদ চৌধুরী রোডে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আ জ ম নাছিরদের বাড়ির ঘাটা এবং জামে মসজিদের পশ্চিম প্রান্তের সিঁড়ির অবতরণ স্থলে তাঁর বন্ধু কবি আলাদীন আলীনূর ও নূর মুহম্মদ চৌধুরী সাহিত্যরত্নের পরিচালিত একটি সাহিত্য আড্ডা ছিল। অবশ্য ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম পৌরসভার কার্যালয় লালদিঘির পাড় থেকে আন্দরকিল্লায় স্থানান্তরিত হয়ে আসার পর থেকে আন্দরকিল্লা রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক নানা ক্রিয়াকলাপের উর্বর ভূমি হয়ে ওঠে। এটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় যে জ্ঞানের হাট অর্থাৎ বই বেচাকেনার বিপণিগুলি আন্দরকিল্লাতেই গড়ে উঠলো। অদূরে কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস এবং কোহিনূর পত্রিকা, এদিকে বিখ্যাত চিকিৎসক রাষ্ট্রদূত ডা. এ এফ এম ইউসুফের পিতা চট্টগ্রামের ত্রয়ী মুসলমান এমবি ডাক্তারের অন্যতম ডা. ওমরের সত্যবার্তা পত্রিকা এবং হাতি কোম্পানির সিংহ দরজার সামনে পটিয়া থানার আলমদার পাড়া গ্রামের খন্দকার মনির আহমদের ন্যাশনাল লাইব্রেরি এবং তাঁকে কেন্দ্র করে প্রবীণ সাহিত্যসেবী কবি ওহীদুল আলম, লোকসাহিত্য গবেষক আশুতোষ চৌধুরী এবং আরও সাহিত্য স্রষ্টার আনাগোনা নজির আহমদ চৌধুরী রোডের মুখটায় লেগেই ছিল। আরও লাইব্রেরি ছিল, যেমনচেয়ারম্যান ফজল করিমের গলির মুখে কোথাও নূরজাহান লাইব্রেরি, সাহিত্যিক আবুল ফজলের সাহিত্য প্রতিভার অপূর্ব সৃষ্টি তাজ লাইব্রেরি ইত্যাদি। অন্যদিকে জামে মসজিদকে কেন্দ্র করে ইসলামি চিন্তা চর্চার একটি পরিমণ্ডলও আন্দরকিল্লায় বিরাজমান ছিল। মওলানা সফিরুর রহমান হাশেমীর হাশেমী দাওয়াখানা, মওলানা ইসমাইল হিলালীর চট্টগ্রাম ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক তিব্বিয়া কলেজ, চুনতির একটি ব্যবসায়ী পরিবারের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিয়া লাইব্রেরিও আন্দরকিল্লায় পুস্তক ব্যবসাকে রমরমা করে তোলে। ডা. কাজী ইউসুফ এবং তাঁর বন্ধুদের সাহিত্য আড্ডাও গড়ে উঠেছিল একটি লাইব্রেরিকে কেন্দ্র করে। সেই লাইব্রেরির নাম ছিল ইউনাইটেড বুক স্টল। তবে সেখানে গুলিস্তান সাহিত্য মজলিশ এবং চট্টগ্রাম লেখক সংঘ নামে দুটি সাহিত্য সংগঠনও একটি সাহিত্যিক আবহ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছিল। তলে তলে দুটি সাহিত্য আদর্শের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও দুর্লক্ষ্য ছিল না। একদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ত্রিশের মহামন্দা, অগ্নিযুগের প্রবল অভিঘাতে পুরাতন মূল্যবোধ, জীবনাদর্শে ভাঙচুর হতে থাকলে নতুন ও পুরাতন জীবনবোধের দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষিতে একদিকে আবুল হোসেন, সৈয়দ আলী আহসান, কবি শামসুর রাহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, সিকান্দর আবু জাফর, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, ফজল শাহবুদ্দিন, অন্যদিকে দেখা দেন বেনজির আহমদ, গোলাম মোস্তফা, শাহাদাত হোসেন, ফররুখ আহমদ, মীর মোশাররফ হোসেন, মোজাম্মেল হক; চট্টগ্রামে যাঁরা আধুনিক সাহিত্য সৃষ্টিতে ব্রতী হন, তাঁরা হলেন মাহবুব উল আলম, ওহীদুল আলম, আশুতোষ চৌধুরী, দিদারুল আলম, আবুল ফজল, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ, সুচরিত চৌধুরী, এবনে গোলাম নবী, মাহবুব উল আলম চৌধুরী; পক্ষান্তরে যারা প্রাচীন পন্থার অনুসারী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে যারা সাহিত্যের আসরে জাঁকিয়ে বসেছিলেন, তারা হলেন আলাদীন আলীনূর, নূর মুহম্মদ চৌধুরী সাহিত্য রত্ন, কাজী কবিরউদ্দিন, . খালেদ মাসুকে রসুল (তিনি লেখক সংঘের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাঁকে প্রাচীপন্থী বলা যায় না), ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ মোসলেম খান, এডভোকেট মোহাম্মদ সোলায়মান, এডভোকেট আবদুস সালাম আলকরণী, আবদুস সালাম খান, আবদুল মাবুদ খান, জহুর উশ শহীদ, নাসিমা খান মিলি, খন্দকার আখতার আহমদ বাচ্চু, মৃণাল কুমার চৌধুরী, অমিতাভ বড়ুয়া, ইসমাইল ইব্রাহীম, মাহবুবুর রহমান, শামসুল হক হায়দরী, অধ্যাপক আনন্দ মোহন রক্ষিত প্রমুখ। বলা বাহুল্য, ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ নজির আহমদ চৌধুরী রোডের সাহিত্য আবহে অবগাহন করে সাহিত্য স্রষ্টা হয়ে উঠেছিলেন। ডা. কাজী ইউসুফ চট্টগ্রাম লেখক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন। নুর মুহম্মদ চৌধুরী সাহিত্যরত্ন ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার সরফভাটা ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কাজী নূরুল হক ছিলেন সমাজসেবী। মাতা সৈয়দা বদিউজ্জামাল বেগম।

ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ প্রাইমারী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারী বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ছাত্র জীবনে প্রতি বছর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করেন। ডা. কাজী ইউসুফ যে উত্তরকালে একজন সাহিত্য স্রষ্টা হবেন, তার প্রমাণ তার বাল্যকালেই পাওয়া গিয়েছিল। স্কুলে অধ্যয়নের সময় গল্প, প্রবন্ধ, জীবনচরিত ও কবিতা লেখায় তাঁর ঝোঁক পরিলক্ষিত হয়। স্কুল ম্যাগাজিনে ‘কি আনন্দ’ শিরোনামে প্রকাশিত তাঁর এবটি কবিতা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।

ডা. কাজী ইউসুফ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে কলা বিভাগে অধ্যয়নকালে কলেজইউনিভার্সিটি অফিসার্স ট্রেনিং কোর্স ইউওটিসিএ যোগদান করে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ থেকে চট্টগ্রাম সিভিল ডিফেন্সের পোস্ট ওয়ার্ডেনএর দায়িত্ব পালন করেন এবং OCOC কোর্স সম্পন্ন করেন।

ডা. কাজী ইউসুফ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম জেলা মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন এবং দলের নীতি আদর্শ বাস্তবায়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম শহর মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত হন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম ৭ ও চট্টগ্রাম ৯ নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

তিনি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ, কবিতা, জীবনচরিত লিখতেন। তিনি ‘মাসিক নজরুল’ ‘ত্রৈমাসিক জনসেবা’ ‘মাসিক আল্‌বদর’ ‘মাসিক সুরভি’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি মানবকল্যাণ ও সমাজসেবামূলক অনেক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

তিনি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডিপ্লোমা অর্জন করেন। চট্টগ্রামের অন্যতম পথিকৃত হোমিও বিজ্ঞানী প্রয়াত ডা. অমল সেনের সান্নিধ্যে যখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির তালিম নেন তখন সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা শেষ হয়। গোমদন্ডীর ডা. মোহাম্মদ এজাহার মিয়ার অনুপ্রেরণায় স্থানীয় আইডিয়াল হোমিওপ্যাথিক কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমা নেন। পপুলার হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল হালিমের চন্দনপুরাস্থ চেম্বারে হাতেকলমে তিনি ব্যবহারিক শিক্ষা অর্জন করেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির। পরবর্তীকালে প্যারেড স্কোয়ারস্থ নিজস্ব বাসগৃহে শেফা হোমিও হলনামে নিজস্ব হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করেন। প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. অমল চন্দ্র সেনের মৃত্যুর পর থেকে ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ পরবর্তীকালে বরাবরই সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে হোমিওপ্যাথিক সংগঠন এ অঞ্চলে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা এক গুণী চিকিৎসক সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি ডা. কাজী মোহাম্মদ ইউসুফকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এটা ছিল বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার এ ধরণের প্রথম অনুষ্ঠান।

জাতীয় হোমিও সম্মেলন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক সমবায় সমিতি, আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক কলেজ, চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতাল, জটিল রোগী পর্যবেক্ষণ বোর্ড ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ ক্লাস, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডএর সদস্য মনোনীত হন। তিনি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, আজিজুর রহমান জনকল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজকল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম সমাজকল্যাণ পরিষদ, আদর্শ বায়তুল মাল পরিষদ, চিটাগাং ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস, চিটাগাং পুশকার্ট হকার্স সমিতি, ‘শপথ’ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, চট্টগ্রাম লেখক সংঘ, চট্টগ্রাম সাহিত্য মজলিস, মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি, হযরত টাকশাহ্‌ মিয়া দরগাহ্‌ মসজিদ কমিটি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটি, প্যারেড ময়দান জোনাল ঈদ জামাত কমিটি, মুসলিম সমাজ কল্যাণ সমিতি, মসজিদ সমাজ বাংলাদেশ, জমিয়তুল ফালাহ্‌্‌ কমপ্লেক্স, আনজুমানএ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টএর সদস্য, রশিদিয়া হাফেজিয়া ইয়াতীমখানা মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা চট্টগ্রাম জেলা শাখার আর্বিট্রেশন বোর্ডের প্যানেল মেডিয়েটর, চট্টগ্রামের ইতিহাসঐতিহ্য সংরক্ষণে সামাজিক সংগঠন ‘আমরা চাটগাবাসী’র সভাপতি, চকবাজার মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চকবাজার ওয়ার্ড শাখার সভাপতি, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ বহু সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে সমাজসেবা, জাতিগঠন ও মানবকল্যাণমূলক কাজে অবদান রাখেন। তিনি ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন। হযরত মিসকিন শাহ্‌ (রহ.)-এর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

তথ্যসূত্র : অধ্যাপক মোহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার, খন্দকার আখতার আহমদ বাচ্চু ও ডা. কাজী ইউসুফের জ্যেষ্ঠপুত্র কাজী নাজমুল হাসান সেলিম।

লেখক: সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধল্যাবজিপিটি: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
পরবর্তী নিবন্ধরাশেদ রউফ এর অন্ত্যমিল