বৈশাখ মানে কৃষ্ণচূড়ার লাল, জারুলের উজ্জ্বল
বেগুনি আভা,
সোনালু ফুলের হলুদ নির্ঝর, মধুগন্ধীর সুরভী,
কাঠগোলাপ আর স্বর্ণচাঁপার স্নিগ্ধতা।
শৈশবের বৈশাখ মানে, স্কুল শেষে
‘শাপলা কুঁড়ি’র আসরে গান – কবিতার রিহার্সেল,
সমবয়সী একঝাঁক কিশোর–কিশোরীর
একসুরে কণ্ঠ মেলানো আর তাল–লয়ে ছন্দে দোলা।
পহেলা বৈশাখের উষালগ্নে সাদা ফ্রক, সাদা জুতো
আর চুলে লাল ফিতে বেঁধে ডিসি হিলের চত্বরে
সমবেত স্বরে গেয়ে ওঠা’ এসো হে বৈশাখ,
এসো এসো‘…
স্কুলের চৌকাঠ পেছনে ফেলে বৈশাখ এলো
ভিন্ন আমেজে,
লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে, খোঁপায় সাদা গাজরা কিংবা
রক্ত গোলাপে,
হাতে গোছা গোছা লাল চুড়ি আর সিঁথির রাঙা সিঁদুরে;
মঙ্গলশোভার মনোমুগ্ধকর আয়োজনে,
ডিসিহিল, শিরীষতলায় তরুণ–তরুণীর প্রাণোচ্ছ্বল
টানা আড্ডাতে,
পান্তা ইলিশের স্বাদে, খরতাপে বর্ণিল হাত পাখায়,
চারুকলার বন্ধুর তুলিতে আঁকা নকশাতে,
নানান রূপে আসে বর্ণিল পহেলা বৈশাখ।
বৈশাখ মানে ঐক্যের সুর, বৈশাখ মানে সমপ্রীতির
রঙিন সুতো,
বৈশাখ মানে বাঙালির ঐতিহ্য,
বৈশাখ হল বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য।