এক দশক আগে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি (পিপি) আনিসুর রহমান। খবর বিডিনিউজের।
রায়ের সময় আসামিদের মধ্যে ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকীরা পলাতক। মৃত্য্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– সাব্বির আহমেদ, রেজাউনুল ওরফে রাব্বী, নাজমুল হক, রাজিবুল হাসান, রিপন ও শহিদুল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন, মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ওরফে আতাউর এবং রেজাউল করিম। মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশও দিয়েছেন বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহীম। রায়ে জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় নাছির হোসেন নামে অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার নথির সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর বড়াইগ্রামের বাসিন্দা রাজশাহী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে সিংড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায় সাব্বির আহমেদ। সেখানে সারা রাত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় কলেজ ছাত্রীটিকে। পরে স্থানীয়রা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার এবং আসামিদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ১১ জনের নামে সিংড়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পিপি আনিসুর রহমান জানান, প্রায় ১০ বছর তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। দীর্ঘ বিচারকাজ চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। এ ছাড়া আসামিদের কয়েকজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন। আনিসুর রহমান বলেন, চাঞ্চল্যকর এই মামলায় আদালত দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন।