নাট্যজনের সন্ধানে বের হলে অনেক অবয়ব করোটির ভেতর জেগে ওঠে। তাঁরা এশহরের নাট্য–ইতিহাসের স্থান পাননি। সুচক্রদন্ডীর উমাচরণ সাবজজের বাড়িতে ১৮৭৩সালে মহাভারত–রামায়ণ অবলম্বনে শ্যামাচরণ খাস্তগীরের নির্দেশনায় নাকি চট্টগ্রামের প্রথম মঞ্চনাটক মঞ্চস্থ হয়।
বীরকন্যা প্রীতিলতা ১৯২৮সালে নাটক লিখে মেয়েদের নিয়ে চৌকির মঞ্চ বানিয়ে সে নাটক মঞ্চস্থ করেন। ত্রিশের দশকে দেশপ্রিয় পত্রিকা ‘কানুনগোপাড়া সংবাদ’ শিরোনামে কলাম প্রকাশ করত। সে–সূত্রে পাওয়া, ১৯৩৬–৩৭সালে কানুনগোপাড়াবাসী ‘শ্রীকৃষ্ণ নাট্যসমাজ’ নামে নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৩৭সালে তাঁরা ‘নবনারায়ন’ নাটক মঞ্চস্থ করেন। এনাটকে পরশুরামের ভূমিকায় স্বামী কৃষ্ণানন্দজী ছাড়াও ননীগোপাল ঘোষ, সুশীল কানুনগো অভিনয় করেন। অভিনেতারা নাটকের গান করেন। মাইকের ব্যবহার ছিল না। কানুনগোপাড়ার মেয়েরা অভিনয়ে আসেন ত্রিশেরদশকের শেষভাগে। ১৯৩৮সালে কাশীমোহন উচ্চ–প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘কুরুক্ষেত্র’ নাটক করেন। এনাটকে নারী চরিত্র অভিনয় করেন সুধারাণী দত্ত, জ্যোৎস্না সিংহ, প্রিয়বালা চৌধুরী, সুরঞ্জিতা কাননুগো। এবছর বান্ধবপাঠাগারে রবীন্দ্রনাথের ‘মুকুট’ মঞ্চস্থ হয়। রাহাতআলী স্কুলের মিলনায়তনে শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে ‘সিরাজের স্বপ্ন’(১৯৩৭), ‘মীর কাসেম’ (১৯৩৮),‘মেবার পতন’ (১৯৩৯)। তিনটি নাটকের নির্দেশক ছিলেন হরিপদ চক্রবর্তী। অভিনেতা ছিলেন হিমাংশু ধর, ডা. কামাল–এ খান, সামশুল আলম।
১৯৪৪সালে এস.জি. গোমেজসহ কয়েকজন নাট্যজন পটিয়ায় ‘বরদা মেমোরিয়াল হল’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে নামকরণ হয় পটিয়া ক্লাব। ১৯৪৫সালে বান্ধবপাঠাগারের অডিটোরিয়াম নির্মাণ হয়। এখানে ছয়শত দর্শক ধারণের সক্ষমতা ছিল। কধুরখীলে মিলন মন্দিরে একটি মুক্তমঞ্চ ছিল।
পঞ্চাশের দশকে মঞ্চস্থ ১৯০২সালে প্রতিষ্ঠিত বান্ধবপাঠাগারের উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো– ‘কালকেতু ফুল্লরা’, ‘সাবিত্রীসত্যবান’, ‘বিদ্যুৎপর্ণা’, ‘শ্রীবৎসচিন্তা’, ‘দেবদাস’, ‘পার্থসারথী’। বান্ধবপাঠাগারের নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জুনুচৌধুরী, চিত্তচৌধুরী, হীরেনদত্ত, মৃণালকান্তি বল, পরিতোষ কানুনগো, সরোজকুমার বল, প্রভাস চৌধুরী, বাবুল চৌধুরী, রণজিৎ রক্ষিত, রণজিৎ চক্রবতী, দিলীপ কানুনগো, শশাঙ্ক ধর, খোকাদত্ত, বাসন্তীদত্ত, হাসি ঘোষ, গোপাল সেন, অজয় চক্রবর্তী, সুজয় চক্রবর্তী, পীরু দত্ত, ত্রিদিব কানুনগো, রেবাদত্ত, ইলা দত্ত, বনানী সেন, হিমানী কানুনগো, চিন্ময়ী কানুনগো, অঞ্জলি সেন, সুরেখা সেনগুপ্তা, কল্যাণী চক্রবর্তী, পূর্ণিমা ঘোষ, শোভা চৌধুরী, রূপনা সর্ববিদ্যা, গোপা সর্ববিদ্যা, শিখাদত্ত, শিউলিদত্ত, ভুলনা হোড়, আভা ঘোষ, যতীন্দ্রলাল কানুনগো, গোপালকৃষ্ণ চৌধুরী, বিশ্বেশ্বর বিশ্বাস, বিশ্বপতি বিশ্বাস, স্বপন চৌধুরী, সমীর বল, বিভু রক্ষিত, সুভাষ রক্ষিত, বুলবুল ঘোষ, দয়ালকান্তি চৌধুরী, মুকুল চৌধুরী, গনেশ দে। নিরক্ষর গনেশ দে শুনে–শুনে সংলাপ মুখস্থ করে কী অসাধারণ অভিনয় করতেন!
ব্রিটিশ আমলের শেষভাগে দোহাজারী–জামিজুরী নাট্যগোষ্ঠী মঞ্চস্থ করে-‘জ্বলন্ত বারুদ’, ‘সিরাজদ্দৌলা’, ‘কর্ণ–অর্জুন’, ‘সিঁদুর নিও না মুছে’, ‘রক্ত দিল যারা’, ‘রাঙ্গা রাখি’, ‘শেষ আরতি’, ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘টিপু সুলতান’, ‘মহারাজ নন্দকুমার’, ‘ভাঙছে শুধু ভাঙছে’, ‘নটিবিনোদিনী’। এসব নাটকে অভিনয় করেন– জেবরমুল্লুক খান, সামশুল আলম, আবদুল মালেক, মাহবুবুর রহমান, জামালুর রহমান, নজরুল ইসলাম, শাহ্ আলম, আবুল বশর, নাসির উদ্দিন, বগলাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, পেয়ারীমোহন দাশ, নিকুঞ্জ ভট্টাচার্য, বাদল মল্লিক, প্রফুল্লরঞ্জন বড়ুয়া, আবদুল গফুর, দেবেন্দ্র মল্লিক, অনুপম চক্রবর্তী, সুব্রত চৌধুরী, হারাধন সরকার, দুলাল সরকার, বাবুল ভট্টাচার্য, সুবোধ ভট্টাচার্য, সন্তোষ চক্রবর্তী, স্বপন মজুমদার, শিশির মজুমদার, দিলিপ দাশগুপ্ত, প্রভাষ দাশগুপ্ত, বাদল দাশ, বাবুল শীল, অনিল বড়ুয়া, প্রিয়তোষ বড়ুয়া। দোহাজারী সৌখিন নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন– দিলীপকুমার দত্ত, মিন্টু নাথ, নাসিরউদ্দিন, মৃদুল দে, শিবু রবিদাশ, দেলোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, সুনীল ভট্টাচার্য, স্বপনকুমার চৌধুরী, মৃদুলকান্তি বড়ুয়া, বিষ্ণুযশা চক্রবর্তী।
দেশভাগের পর নাট্যচর্চায় শূন্যতা পূরণে ভূমিকা পালন করে কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজ, যা আশিরদশক পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কলেজের প্রথম নাটক ‘শাহজাহান’–এ অভিনয় করেন অশোক বড়ুয়া। অধ্যাপকদের মধ্যে সুবোধরঞ্জন রায়, অংশুমানহোড়, অবিনাশপাল, দিলীপ চৌধুরী, বাদলবরণ বড়ুয়া, পার্থসারথি চৌধুরী, দীপকপাল, কৃষ্ণগোপাল চৌধুরী, পরিমল ভট্টাচার্য, সুকুমার দে প্রমুখের বিশেষ অবদান ছিল। কলেজের উল্লেখযোগ্য নাটক হলো– ‘দায়ী কে’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘বারঘন্টা’, ‘সেনাপতি’, ‘ক্ষুধা’। ‘ক্ষুধা’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মণীষা কানুনগো। সত্তর–আশিরদশকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন– আবদুল মোমিন, সিরাজুল হক বাদশা, রঞ্জন ঘোষ, অশোক চৌধুরী।
পঞ্চাশের দশকে কানুনগোপাড়ায় নবারুণ সাহিত্য পরিষদসহ কয়েকটি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। নবারুণের ‘মহারাজ নন্দকুমার’, ‘কমলে কামিনী’, ‘সীতা’, ‘শাহাজাহান’, ‘পার্থসারথী’, ‘সরমা’; মুক্তিসংঘের ‘মা–মাটির–মানুষ’; বলাকা সংঘের ‘রাজনন্দিনী’; কিশোর লাইব্রেরির ‘স্বামীর চিতা জ্বলছে’; দীপায়ন খেলাঘরের ‘কাবুলিওয়ালা’ মঞ্চ সফল নাটকি ছিল। নবারুণের হৃদয়রঞ্জন সেন, পুলিনবিহারী চৌধুরী নাটকন্ত প্রাণ ছিলেন। প্রজ্ঞাপাঠাগারের উদ্যোগেও নাটক মঞ্চস্থ হতো।
বান্ধবপাঠাগারের ষাট ও সত্তরের দশকের উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো– ‘কর্ণার্জুন’, ‘খণা’, ‘মাটিরঘর’, ‘শাপমোচন’, ‘চন্ডালিকা’, ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘মায়ার খেলা’, ‘আমার দেশ’, ‘কালমৃগয়া’, ‘ডাকঘর’, ‘দুইবিঘা জমি’, ‘প্রদীপশিখা’, ‘বিসর্জন’, ‘সিরাজদ্দৌল্লা’, ‘মহারাজা নন্দকুমার’, ‘সিরাজের স্বপ্ন’, ‘প্রায়শ্চিত্র’, ‘অভিশপ্ত ফুলশয্যা’। বান্ধবপাঠাগারের নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করতেন অজিত চৌধুরী, অনীল শীল। নৃত্যশিক্ষক ছিলেন নৃত্যগুরু রুনু বিশ্বাস।
১৯৬০সালে গঠিত পটিয়া সৌখিন নাট্যগোষ্ঠী ২৫ বছরে ৬১টি নাটক ১৩২বার মঞ্চায়ন করেছে। এসব নাটক নির্দেশনায় ছিলেন কুনিয়াৎ ছবুর, গোপালকৃষ্ণ মহাজন, আবদুচ ছালাম, মোহাম্মদ হাশেম, আবদুল হক, এম এ হক, গিয়াসউদ্দিন। অভিনেতা ছিলেন– জহুরুল হক, আবদুল মোমেন, নাজিরুল হক, নুরুল ইসলাম, সামশুল আলম, মনিরুল ইসলাম, মতিউর রহমান, শফিউদ্দীন।
স্বাধীনতার আগে গাছবাড়িয়ায় ‘সাউথ কালচারাল এসোসিয়েশন’ মঞ্চস্থ করে– ‘সিরাজদ্দৌলা’, ‘লায়লি–মজনু’, ‘টিপু সুলতান’, ‘শিরি–ফরহাদ’। অভিনয়ে ছিলেন ভোলা সেন, মীর আহমদ, কাজী ইসলাম, আহমদ কবির, সুকুমার চক্রবর্তী, সিরাজুল ইসলাম, সিদ্দিক আহমদ, সিরাজুল ইসলাম খুইল্যা মিয়া। সাহিত্যিক আহমদ ছফাও একটি নাটকে অভিনয় করেন। সাতকানিয়াতেও নাট্যচর্চা হতো।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কানুনগোপাড়া হরিমন্দির মাঠে প্রবীর চৌধুরী(বন)-এর উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বসন্তনাট্য উৎসব হয়েছে। বসন্তউৎসবকে কেন্দ্র করে দক্ষিণচট্টগ্রামে নাট্যচর্চার জোয়ার সৃষ্টি হয়। একধরনের প্রতিযোগিতা চলত নাট্যদলগুলোর মধ্যে।
সত্তরের দশকে শুকতারা নাট্যগোষ্ঠী নাট্যায়োজন করত। এদলের সঙ্গে ছিলেন– দোলন চক্রবর্তী, দেবী কানুনগো, পংকজ চক্রবর্তী, প্রবীর কানুনগো, অমিত চৌধুরী, শোভা ঘোষ, রীনামিত্র। শুকতারার ‘অগ্নি যুগের কাহিনী’ বহুল নন্দিত ছিল।
সত্তরের দশকের মাঝামাঝিতে গাছবাড়িয়ার চন্দনা সাংস্কৃতিক একাডেমি মঞ্চস্থ করে-‘হিংসার পরিণাম’, ‘সেলিম–সেলিনা’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। অভিনয় করেন– আবুতৈয়ব, লিয়াকত আলী, ফরিদুল আলম, মিলন শীল ও আবুল কাসেমসহ অনেকে। এসময়ে সাতবাড়িয়ায় মঞ্চায়িত হয়েছে ‘এক মুঠো অন্ন চাই’, ‘উদয় নালা’, ‘সিরাজদ্দৌলা’। অভিনয় করেন– আহমদ কবির, সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ্, শুভপতি বড়ুয়া, তিলক চৌধুরী, আবদুল মোনাফ, সাবিনা ইয়াসমিন, মোজাম্মেল হক, হুমায়ুন কবির, নিলয় বড়ুয়া, হাবিবুল্লাহ, কামাল উদ্দিন।
যাত্রার উর্বর ভূমি ছিল কানুনগোপাড়ার মাটি। হরিমন্দির, নবারুণ সাহিত্য পরিষদ, আর্বান–কো–অপারেটিভ ব্যাংক, বলাকা সংঘ, শিব চতুদর্শীর মাঠে, চিন্তাহরণ চক্রবর্তী, সুধাংশুশীলের বাড়ি, মাস্টার বাজারের পূবদিকের বিলে নিয়মিত যাত্রা হতো। সুধাংশুশীলের বাড়ির প্রাঙ্গণে ‘বৃত্রাসুর বধ’ যাত্রায় সাদেক আলীর অট্টহাসি’র প্রবীণেরা এখনও ভুলেননি। কানুনগোপাড়ার উল্লেখযোগ্য যাত্রাশিল্পীরা হলেন– হীরেনদত্ত, হেমখলিফা, নির্মল কানুনগো, অরুণ চক্রবর্তী, সুখেন্দু চক্রবর্তী, ভোলানাথ চক্রবর্তী, হরিমোহন নন্দী, হরিরঞ্জন চৌধুরী, কানুঘোষ, ভূপাল শীল, সমরজিৎ ঘোষ, নীরেন্দ্র চৌধুরী, সামশু মিঞা, কৃষ্ণগোপাল ঘোষ, রনজিৎ চৌধুরী, শুখেন্দু চৌধুরী, বাবুল মজুমদার, সুনীল পাল, তপন শুক্লদাশ, কুদরত গণি, মনিদ্র মজুমদার, সুদর্শন চক্রবর্তী। নগেন্দ্র মহাজন, বিজয়কৃষ্ণ চক্রবর্তী, সুনীল চক্রবর্তী নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন।
পটিয়ায় নাটক মঞ্চায়নে সুবোধ রায়, বীরেন্দ্র চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। ধলঘাট, কেলিশহর, খরনখাইন, হাবিলাশদ্বীপ, বাগদন্ডীতে নিয়মিত নাটক হতো। পটিয়া ক্লাব নাট্যশিল্পীর ‘চাঁদ সওদাগর’, ‘পথের শেষে’, ‘মানুষ’ প্রশংসীত হয়। পটিয়ার নাট্যজন সুরেন্দ্র চক্রবর্তী, দ্বিজেন বড়ুয়া, রণজিৎ রায়, পরিমল সেন, শৈবাল বড়ুয়া, নাসির উদ্দিন, তপন দাশ, মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যানকে নবনাট্যান্দোলনের সুহৃদেরা চেনেন না।
আশিরদশকে প্রতিষ্ঠিত সাতবাড়িয়া শিল্পী ও নাট্যগোষ্ঠীর মঞ্চস্থ ‘৭১’, ‘আমরা ক’জন’,‘শেষ রক্ত’ নাট্যত্রয়ে অভিনয় করেন হুমায়ুন কবির, চুমকি বড়ুয়া, পিকলু বড়ুয়া, আবু খালেদ, সাথী বড়ুয়া, নুরুল আমিন, তানভির আনসারী, লিটন বড়ুয়া, গিয়াসউদ্দিন, অনুকর বড়ুয়া, সেলিম উদ্দিন, শ্রাবণী চৌধুরী, সাথী বড়ুয়া।
বিশ শতকের শুরুতে তেজেন্দ্র ধর, হরেন্দ্র ধর রাউজানের নাট্যচর্চায় অবদান রাখেন। তখন শহর চট্টগ্রামের বাইরে নাট্যচর্চায় ‘ডেঙ্গাপাড়া সুহৃদ সম্মিলনী’র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন অশ্বিনীকুমার দাশ। তাঁর বাড়ির আঙিনায় মুক্তমঞ্চ ছিল। এছাড়াও ছিলেন যোগেশ চক্রবর্তী, সাতকড়ি দাশ, তারাকিঙ্কর ঘোষ, মনিদ্র দত্ত, সুরেন ঘোষ, বিনোদ মিত্র।
বিস্মৃতির কারণে নাট্য–ইতিহাসে আরও ঠাঁই পাননি– প্রাণহরি নন্দী, তুষার বিশ্বাস, শান্তি বিশ্বাস, মুক্তি চক্রবর্তী, জাহানারা বেগম, নিত্যসেন, হিমাংশু ধর, গীতা রুদ্ধ, হরিপদ ঘোষ, বিমল সেন, বিশ্বেশ্বর দাশগুপ্ত, গোপাল সাধু, ভোলানাথ দাশ, এস.পি.তালুকদার, মানিক চৌধুরী, পরৈকাড়ার যোগেশ বাবু, পোপাদিয়ার সারদালালা, কেলিশহরের স্মৃতিশ ভট্টাচার্য্য, সাতকানিয়ার ব্রজেন্দ্র নন্দী, শাকপুরার সারদা শর্মা। নতুন গবেষকের প্রত্যাশায় অনুসন্ধান অসম্পূর্ণ রেখেই শেষ করলাম।
সূত্র: বোধন শতবার্ষিকী অভিজ্ঞান, সম্পাদক সরোজ কুমার বল, প্রকাশক বান্ধব পাঠাাগার, চট্টগ্রাম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২; হাজার বছরের চট্টগ্রাম, দৈনিক আজাদী, ৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা, চট্টগ্রামের লোকনাট্য:শামসুল আরেফীন, দৈনিক আজাদী ৩১ডিসেম্বর ২০২২, সংস্কৃতি চর্চায় পিছিয়ে নেই পটিয়া, দৈনিক পূর্বকোণ ১৮ ফেব্রয়ারি ২০২৩।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার