দক্ষিণ কোরিয়ার সাময়িক বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে দেশটির তদন্তকারীরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। ছয় ঘণ্টা ধরে চলে নাটকীয় পরিস্থিতি। কিন্তু পরে তদন্তকারীরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা থেকে সরে আসেন। খবর বিবিসির। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানায়, সেনাবাহিনী ও ইউনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একটি মানবপ্রাচীর তৈরি করেন এবং যানবাহন ব্যবহার করে তদন্তকারী দলের পথরোধ করেন। খবর বাংলানিউজের।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির আদালত ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন। এসব অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলেও তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হতে বারবার অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শুক্রবার ভোর থেকেই সিউলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইউন সুক ইওলের বাসভবনের বাইরে রাস্তায় সারি করে দাঁড়িয়ে ছিল ডজনখানেক পুলিশ ভ্যান। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তা ও সিআইও (দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর) সদস্যদের একটি গ্রেপ্তার দল ইউনের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়। অভিযানটি শুরু হয়েছিল ২০ সদস্যের একটি ছোট দলের মাধ্যমে, কিন্তু দ্রুত তা বেড়ে প্রায় ১৫০ জনে পরিণত হয়। তবে প্রতিপক্ষের তুলনায় তা যথেষ্ট ছিল না। দলের প্রায় অর্ধেক সদস্য ইউনের বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেখানে তারা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার জন্য মুখোমুখি অবস্থানে আটকে পড়েন। ইউন তার ক্ষমতা হারালেও নিরাপত্তারক্ষীরা এখনও তাকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন। সিউল শহরের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি সামরিক ইউনিটও সেখানে উপস্থিত ছিল। একপর্যায়ে ইউনের নিরাপত্তাদল তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘সরাসরি সংঘাতে’ জড়িয়ে পড়ে বলে এএফপিকে জানান সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক কর্মকর্তা । ‘আমরা নিশ্চিত, গ্রেপ্তার কার্যত অসম্ভব,’ বলেন দুর্নীতি তদন্ত অফিসের (সিআইও) এক কর্মকর্তা। তিনি ইউনের গত মাসের অস্থায়ী সামরিক শাসন ঘোষণার বিষয়টি তদন্ত করছেন।