গত ৪ দিন অমাবস্যার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানির স্রোতে রাউজানের বহু গ্রামীণ সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বিশেষ করে রাউজান–কাগতিয়া–রাউজান সড়কটি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখন পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, পনায়াপাড়া–রাউজান সড়ক সেকশন–১ নামে পরিচিত চৌধুরী ঘাটকুল থেকে শুরু হয়ে রাউজান সরকারি কলেজ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি পুরো পথ খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়ক পথের ডোমখালী এলাকায় কমপক্ষে ৪ শত মিটার সড়ক পথ বিধ্বস্ত হয়ে অর্ধেক সড়ক পাশের খালে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কটির সাথে সংযুক্ত ডোমখালী মাজার গেট থেকে আজিমের ঘাটমুখি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে খালে ধসে পড়েছে। ধসের কারণে এই সড়ক পথটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের। গত দেড় বছর ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় আগে থেকে নাজুক ছিল। গত কয়েকদিনের বর্ষা ও জোয়ারের পানির চাপে এখন সড়কটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কাজী সরোয়ার খান মঞ্জু ও হারুন সিকদার আজাদীকে জানান,ডোমখালী এলাকায় সড়কটি রক্ষায় তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কিছু বালির বস্তা ফেলেছেন। বৃষ্টিতে ভিজে রাতে লাইট জ্বালিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে মানুষের হাঁটাচলা ঝুঁকিমুক্ত করা ও মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের।
কাগতিয়া এলাকার সমাজ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, নোয়াপাড়া–কাগতিয়া–রাউজান সড়ক পথে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে দরবারসহ এশাতুল উলুম কামিল মাদরাসার হাজার হাজার ভক্ত ও শিক্ষার্থী। এই সড়ক ব্যবহার করে নোয়াপাড়া থেকে রাউজান কলেজের অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে।
তাছাড়া উপজেলার দক্ষিণাংশের মানুষ যাতায়াত করে উপজেলা প্রশাসনে বিভিন্ন কাজকর্মে। তাদের অভিযোগ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার না করায় কয়েকদিনের বর্ষায় একেবারেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা অতিদ্রুত সড়কটি সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।