ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার ডুয়াইন ব্রাভোর চ্যাম্পিয়ন গানটি বেশ জনপ্রিয় এখণ বিশ্ব ব্যাপি। কি ফুটবল আর কি ক্রিকেট। যেখানেই চ্যাম্পিয়ন সেখানেই বাজে এই গানটি। ব্রাভোর সে গানের সঙ্গে নাচ, কেক কাটা, হাসি, মজায় শিরোপা জয়ের রাতটি কেটেছে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েদের। কাঠমান্ডুর সোয়াল্টি হোটেলের লবিতে পরদিন অর্থাৎ গতকাল কেউ গল্পে মেতে আছেন। কেউ ডুবে আছেন মোবাইল নিয়ে। কোচ-কর্মকর্তারাও আয়েশী ভঙ্গিতে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সব মিলিয়ে সুখি একটা দলের প্রতিচ্ছবি যেন। আনন্দের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়ার উৎসবের রেশ গতকাল মঙ্গলবার সকাল গড়িয়েও চলছে বিরামহীন। ইতিহাস গড়া শিরোপা জয়ের পর মাঠেই নেচে-গেয়ে উদযাপনে মেতেছিলেন মাসুরা-কৃষ্ণা-সানজিদারা। টিম বাসের ভেতরেও চলেছে আনন্দ-নৃত্য। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য টিম হোটেলের পক্ষ থেকে ছিল কেক কাটার আয়োজন। পরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন’ গানের তালে সুর মিলিয়ে নেচেছেন সবাই। মিডফিল্ডার সানজিদা খাতুন জানালেন তাদের রাতভর উদযাপনের গল্প। তিনি বলেন মাঠে নেচেছি, বাসেও নেচেছি। হোটেলে ফিরেও নাচানাচি করেছি। গান গেয়েছি, কেক কেটেছি। এগুলো করেই রাত পার করেছি। দলের সদস্য মাসুরা পারভীন জানান স্বস্তির ঘুম দিয়ে উদযাপন সেরেছেন তিনি। ওরা সবাই নাচ-গান করেছে। হোটেলে ফিরতেও অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম। তাই খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঠিক উল্টো অবস্থা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের। এতদিনের পরিশ্রমের ফল পেয়ে নির্ঘুম রাত কেটেছে তার। তিনি বলেন মেয়েদের ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারা যেন নিজেদের মতো করে এই ঐতিহাসিক অর্জন উপভোগ করে। আমার তো ঘুমই আসেনি। চেষ্টা করেও চোখ বুজতে পারিনি। দলে বরাবরই খুবই প্রাণোচ্ছল মারিয়া ও মনিকা। দলের মাঝমাঠ যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামলান দুজনে। হোটেলের লবিতেও দুজন পাশাপাশি বসে ছিল। ব্রাভোর চ্যাম্পিয়ন গানের নাচের ভঙ্গি করে মারিয়া জানান উৎসবের রজনী কেমন করে কাটালেন তারা। খুব এনজয় করেছি। মাঠ থেকেই শুরু হয়েছে নাচানাচি। টিম হোটেলে আসার বাসে উঠে ডিজে ব্রাভোর চ্যাম্পিয়ন গানের তালে নাচানাচি করলাম। ভিডিও করলাম, সেলফি তুললাম। ওখান থেকে হোটেলে এসে কেক কাটলাম। ডিফেন্ডার নিলুফা ইয়াসমিন নীলা জানালেন অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন তারা। বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে ফুটবলাররা। বন্ধুদের ফোন এসেছে অহরহ। কখন দেশে ফিরব, কখন দেখা হবে, কবে মিষ্টি খাওয়াবো শুধু এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে। উদযাপন নিয়ে বলতে গিয়ে ঋতুপর্না ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। রাতের উৎসবের পুরো চিত্র যেন ফুটে উঠল অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কথায়। তিনি বলেন আমি তো সাড়ে ১২টার সময় দেখি আমার রুমমেট (শামসুন্নাহার) উধাও। সে আমাকে ফেলে রেখে সেলিব্রেট করতে চলে গেছে বাকিদের সঙ্গে। আসলে অন্যরকম রাত ছিল।