নাচ, গান, আবৃত্তিতে চট্টল সুরাঙ্গনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ

হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুলস্লোগান নিয়ে যাত্রা করা সঙ্গীত চর্চার সংগঠন চট্টল সুরাঙ্গনের নতুন কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও কঙবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম। এছাড়া উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন কঙবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাব্বির ইকবাল সুমন, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক মাহফুজুল হক।

দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় ও চট্টল সুরাঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তা সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আছিফ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টল সুরাঙ্গনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী রবিউল আলম, সঙ্গীতঙ্গ ইকবাল হায়দার চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী ও নাট্যজন হাসান জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও গীতিকার অধ্যাপক আবুল হাসান, শিল্পপতি ও সঙ্গীতশিল্পী রিয়াজ ওয়ায়েজ এবং ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বিপ্লব। এছাড়া অনুষ্ঠানের মিডিয়া ও মঞ্চ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সৈয়দ খায়রুল আনোয়ার, তাপস চৌধুরী ও শারমিনা আক্তার লুবনা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে, কিন্তু সঙ্গীতের ভাষা এক। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল অনেক গল্পকবিতা লিখলেও তাঁরা অনন্তকাল গানের সুরের কারণে বেঁচে থাকবেন। সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে। সংস্কৃতি চর্চা মানে শুধু গান নয়, সংস্কৃতিতে আবৃত্তি ও উপস্থাপনাও হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সরকার থেকে তেমন কোনো আর্থিক পৃষ্টপোষকতা পান না। পৃষ্টপোষকতার অভাবে অনেক সংগঠন বিকশিত হয় না। এক্ষেত্রে সংস্কৃতিমনা বিত্তশালী যারা আছেন তাদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের সন্তানকে পড়ালেখার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ যোগাতে হবে। অনেক মুসলিম পরিবার তাদের সন্তানদের সংস্কৃতি চর্চায় নিরুৎসাহিত করেন। আসলে সংস্কৃতি চর্চায় সন্তান চিন্তাচেতনায় অনেক উদার হয়। বিষয়টি অভিভাবকদের ভাবা উচিত।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হলভর্তি দর্শকশ্রোতা নাচ, গান ও আবৃত্তি উপভোগ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ারিশ সনদ জাল, রাঙ্গুনিয়ায় বৃদ্ধ কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধচান্দগাঁওয়ে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার ৫