চাকরি বা একাডেমিক পরীক্ষা, ক্লাস ও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে অনেকেই গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াত করেন। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে রওনা দেয়ার পরও গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের। এমন ভোগান্তির গল্পে আমরা কীভাবে উন্নত দেশের নাগরিক সেবা প্রত্যাশা করতে পারি? তা ভাবার সময় এসেছে। দূরপাল্লার বাস যদি নিয়ম বহির্ভূত লোকাল সেবা দেয় তার দায় কে নিবে? যত্রতত্র যাত্রী তোলাসহ অতিরিক্ত ভাড়ায় অতিষ্ঠ যাত্রীদের নীরব কান্না দেখার কেউ নেই। আমাদের দেশে বিদ্যমান প্রত্যেকটি নাগরিক সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আছে, আছেন দায়িত্বশীল কর্তাবৃন্দ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো সমাধানের প্রক্রিয়া খুবই জটিল ও ধীরগতিতে আটকে আছে ন্যূনতম প্রয়াস। তাই আমরা কেবল অভিযোগ করার সুযোগ পাই, আর সুবিচারের অপেক্ষায় থাকি। সাধারণের প্রতিবাদে অনেক পরিবর্তন অতীতেও এসেছে, বর্তমানেও তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এই সুফল জারি রাখতে হলে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ দরকার। জবাবদিহিতা দরকার। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাহস ও নৈতিক জোর বাড়ুক। এই প্রত্যাশায়।
শহিদ রাসেল
চকরিয়া, কক্সবাজার।