ভোগান্তিহীন টেকসই নাগরিক সেবা নিশ্চিতে নগরে বিদ্যমান সেবা সংস্থাগুলো পারস্পরিক সমন্বয় করবে বলে একমত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধানগণ মনে করেন, নিজেদের মধ্যে সু-সম্পর্ক না থাকলে নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সফল হওয়া যাবে না। তাই নগরবাসীকে মানসম্পন্ন সেবা প্রদান ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর রূপরেখা বাস্তবায়নে এক ও অভিন্নভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করে যাবেন। সিটি কর্পোরেশনের সাথে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে চসিকের টাইগার পাসের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধান ও তাদের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
চিহ্নিত সমস্যা ও সুপারিশ : সভায় নগরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমাধানে সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য আনা-নেয়ায় ট্রাক-লরির জন্য আলাদা লেইন করা, যানজট নিয়ন্ত্রণে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নগরে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, লালখান বাজার মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ অথবা আন্ডারপাস নির্মাণ, ওয়ার্ডভিত্তিক রিকশা ও রোড ভিত্তিক গণপরিবহনের কালার করা, রেলস্টেশনের সামনে তিন থেকে চার তথা বিশিষ্ট পার্কিং এর ব্যবস্থা করা, গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বাস-বে নির্মাণ শাহ আমানত ব্রিজের গোল চত্বরের আয়তন কমানোর সুপারিশ করা হয়।
সভায় উপস্থিত সেবা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সমৃদ্ধ নগর নির্মাণে ইতোপূর্বে গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক্ষেত্রে যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম শহরে একসময় দিনের বেলা ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন সেই নিয়ম কেন মানা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া বন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো কন্টেনার ইয়ার্ড ও আইসিডি না থাকার সিদ্ধান্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত না হওয়া, যততত্র পার্কিংয়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশ মামলা করলেও পার্কিং স্পট নির্দিষ্ট করে না দেয়া এবং পার্কিং ছাড়া সিডিএ কেন ভবনের অনুমোদন দেয় সেই প্রশ্নও ওঠে। এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি, জলাবদ্ধতা, স্যুয়ারেজ, অবৈধ পাহাড় কাটা, কর্ণফুলীর দূষণ, বিমান নগরে বাস-ট্রাক টার্মিনাল না থাকার বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএর প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সভায় উপস্থিত পরিবেশ অধিদপ্তরের নগর পরিচালক।
প্রশাসক ও সিডিএ চেয়ারম্যানের বক্তব্য : চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নগরের বিভিন্ন সড়কে বিশেষ করে বিমানবন্দরে সড়কে সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করে বলেন, ওই সময় অফিসগামী গাড়ির চাপ থাকে রাস্তায়। আবার একইসময়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছুতে বেগ পেতে হয়। তাই ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখলে যানজট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ আসবে।
তিনি বলেন, দখল, দূষণ, জলাবদ্ধতা, যানজট, অবৈধভাবে পাহাড় কাটার কারণে চট্টগ্রাম নগরী এখন শ্রীহীন নগরে পরিণত হয়েছে। অথচ চট্টগ্রাম থেকে ঘুমদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর ও বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহর রিজিওন্যাল কানেকটিভিটির কেন্দ্রে পরিণত হবে।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ওয়াসার কাটাকাটি ও সিডিএর এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ের জন্য সড়ক কাটায় ধুলাবালি, যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। নগরে যানবাহন থামার নির্দিষ্ট কোনো স্টপেজ নাই। অথচ নগরে ব্যবসার পরিধি বাড়ছে। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। যে কারণে গুরুত্ব বাড়ছে নগরের। প্রশাসক বায়েজিদ এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধ ও পরিবেশ দূষণ রোধে স্টিল রি-রোলিং মিলগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সমন্বয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরস্পরকে সহযোগিতা করে কাজ করতে হবে। সিডিও প্লান করবে এবং সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করবে। দুই সংস্থা জমজ ভাইবোনের মত। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সফল হওয়া যাবে না। ওয়াসার সঙ্গেও সমন্বয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রশাসক বলেন, নতুন ব্রিজের গোলচত্বর প্রয়োজনের তুলনায় বড়। সেটা কমানোর জন্য সওজ কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেন তিনি।
সিডি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, বন্দরের সাথে সমন্বয় না হওয়ায় এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে, স্টেডিয়ামের সাথে সমন্বয় না হওয়ায় রিং রোড কাজ বন্ধ ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়েও সিটি কর্পোরেশনের সাথে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু দায়িত্ব নেযার পর সমন্বয় সভা করে তা সমাধান করেছি। এবং এখন কাজগুলো চলমান আছে। কাজেই সমন্বয় দরকার। এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে হয়ে গেরৈ ২০ মিনিটে বিমানবন্দর পৌঁছা যাবে। এতে যানজট কমে আসবে। তিনি বলেন, শীঘ্রই নতুন মাস্টার প্লান করায় আমরা হাত দিচ্ছি। তিনি কবি নজরুল ইসলাম রোড থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক ৬০ ফুট প্রশস্ত করা হবে বলেও জানান। সেখানে কোথাও ৬০ ফুট না থাকলে প্ল্যানও দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, কন্টেনার ইয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত থাকলেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এটা নিয়ে বন্দরকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম। তারা তাদের সমস্যা নেই বলেছে। কিন্তু কাস্টমসরে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
অন্যান্য : স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, রং পার্কিং কেন করে। পার্কিংয়ের ব্যববস্থা নাই বলে। সিডিএ যখন অনুমোদন দেয় তখন বিষয়টা দেখে না কেন। পার্কিং ছাড়া অনুমোদন দেয় কেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, নগরবাসী আমাদের ভুল বুঝে সড়ক কাটার কারণে। পানি সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য আমরা সড়ক কাটছি। ২০০৯ সালে নগরে পানি সরবরাহ হতো ১২ কোটি লিটার। প্রয়োজন ছিল ৪০ কোটি লিটার। সেই পরিস্থিতির এখন উত্তোরণ ঘটেছে। পরিবেশের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে ৯৬টি টিউবয়েল বন্ধ করা হয়েছে বলেন জানান তিনি। তিনি শুষ্ক মৌসুমে অগ্নি নির্বাপণ রোধে ওয়াসার স্থাপিত ২৪৫টি ফায়ার হাইড্রেন্টগুলো সক্রিয় করার পাশাপাশি পানির অপচয় রোধে লক সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান।
ফজলুল্লাহ নগরবাসীকে নিজ বাসগৃহের ভূগর্ভস্থ পানির ট্যাকংগুলোকে বড় রাখতে নকশা প্রণয়নে সিডিএকে তা তদারকি করতে বলেন। তিনি বলেন, ৮৬ কিলোমিটার অতিক্রমের পর হালদায় অসংখ্য বাঁধ দেয়ায় ওই এলাকায় ১২ থেকে ১৩ কি.মি. পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। এই এলাকায় কখনো কর্ণফুলী কখনো সমুদ্রের লবণাক্ত পনি ঢুকে যা সাপ্লাই করা যায় না। তিনি নগরীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন ও ইপিজেড স্থাপনের পূর্বে পানি সরবরাহের পরিকল্পনা বিবেচনায় রাখতে বলেন। না হয় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে মত দেন। তিনি বলেন, স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য আমাদের ১৬১ একর জায়গা আছে। বাস্তবায়িতহতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ততদিন কাটাকাটি চলবে। তবে স্যুয়ারেজের পাইপ আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে নেয়া যায় কিনা সেটা চেষ্টা করছি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (ট্রাফিক) এর উপপরিচালক জয়নুল আবেদীন বলেন, যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা করেন চালকরা। গাড়িগুলো এলোমেলো করে রাখে তারা। আমরা জরিমানা করি। কিন্তু তারা শোধরান না। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, যে কোনো উন্নয়ন কাজ করতে পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় তা বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ের চলমান কাজের প্রকল্প এলাকায় ধুলোবালি রোধ ও জননিরাপত্তার জন্য ঘেরা দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন ও ১ ঘণ্টা অন্তর পানি ছিটাতে বলেন। তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে ইটিপি স্থাপন ও কমপ্লায়েন্ট নিশ্চিত করতে বলেন। পিসি রোডে চসিকের ছাড়পত্র না থাকা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ের পিডিকে বার বার বলা হলেও ঘেরাও দিচ্ছে না।
বিআরটি এর চট্টগ্রাম ডিভিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ফুটপাত পরিস্কার ও নগরে অযান্ত্রিক যান কমানো, চসিকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নিয়মিত করার উপর জোর দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর বলেন, আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে ২৯টি খালের সীমানা প্রাচীরের কাজ সম্পন্ন করেছি। তিনি সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নীচ থেকে উপর স্তরে সমন্বয়ের জোর দেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন বলেন, ট্রান্সফর্মারে দুর্ঘটনা রোধে এর নীচে চসিকের ডাস্টবিন স্থাপন না করতে পরামর্শ দেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে সব বৈদ্যুতিক মিটার প্রিপেইড করা হবে। গ্রাহক চাইলে নিজ খরছে প্রিপেইড মিটার লাগাতে পারবেন। এতে ভোগান্তি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, অনেক সেবা সংস্থার উন্নয়ন কাজ সাব কন্ট্রাকে হওয়ার কারণে গুণগতমান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। দূষণও বেড়ে গেছে। তিনি এসময় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের নির্মাণাধীন ১৭টি জলকপাটের তত্ত্বাবধানে লোকবল নিয়োগের জন্য চসিকের জনবল কাঠামো ঠিক করতে পরমর্শ দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী তা অটোমেশনের মাধ্যমে করতে পরামর্শ দেন এবং একাজ একা চসিকের নয় বলে উল্লেখ করেন। জলকপাটের তত্ত্বাবধানে নিয়োগকৃত লোককে চউক প্রশিক্ষণ দিবে বলে জানানো হয়।
কেজিডিসিএল এর মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সরওয়ার হোসেন বলেন, ২৫ হাজার গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০ হাজার ডিমান্ড নোট জমা হয়েছে। নগরীতে দ্রুত আবাসিক সংযোগ দিতে প্রশাসককে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলার অনুরোধ করেন তিনি। এসময় তারা ১ লক্ষ ৪০ হাজার প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে বলে জানান।
কোভিড নিয়ে সতর্কতা : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ এর ফলে এখন সংক্রমন বেড়েছে। গত মাসে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫০ এখন তা দৈনিক ১০০ জনে উন্নীত হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩’শ, জেনারেল হাসপাতালে ২শ, ও হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১শ শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে। সমস্যা শুধু হাইফ্লো অঙিজেন সাপ্লায়ের ব্যবস্থা না থাকা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাড়া এই ব্যবস্থা কোথাও নেই। এখন কোভিডে মৃত্যুর হার কমলেও সংক্রমণ বাড়ছে। তিনি জনসাধারণের উদাসীনতাকে দায়ী করে জ্বর বা কোন লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে করোনা কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি ওয়েস্ট ডিসপোজেবল করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ২০৫০ সালে সুপারবেগ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন কোভিডের কারণে মনে হচ্ছে ২০৩০ সালে সেটা হবে। এর কারণে শতভাগ মৃত্যুর সম্ভবনা রয়েছে। এতে কোনো এন্টিবায়োটিকেও কাজ করবে না।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, সড়ক ও জনপথের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী বক্তব্য রাখেন।