চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, নাগরিক সেবা প্রদান ও গ্রহণের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবশ্যক। বর্তমান সরকার জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন তৈরির ফি বিনামূল্যে করে দিয়েছে। আর এতে সাধারণ কর্মজীবী মানুষের কিছুটা হলেও উপকার হবে। সকলের নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তাৎক্ষণিক যে কোনো সেবা প্রদান সহজ হবে। এজন্য সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবদের সচেতন হতে হবে। শিশু জন্মের পরপরই জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করব, শুদ্ধ তথ্য ভাণ্ডার গড়ব’।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলম। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।