নাগরিক অধিকার সুরক্ষায়

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | শুক্রবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে টিভি চলে, এসি চলে, তবে মানুষের মন চলে না। জীবন যুক্ত করার পথে মাননীয় কর্তৃপক্ষ, হু হু করে মহাশুন্যে যাত্রা করেছে পণ্য সামগ্রীর দাম। বান্দার দুরবস্থা, ভোক্তা নিগৃহীত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন জটিল ও কঠিন দায়িত্বটি সামলাবে কে? পণ্য সামগ্রীর তালিকা নিয়ে বাজারে গেলে মাথায় হাত।

সংকোচিত করেও রেহায় নেই। জনতার বাঁচার পথটি কি সহজ সরলীকরণ আয়ত্তে আনা যাবে না? তৈল, পিয়াজ, ডাল, রসুন, আদা ও নিত্য পণ্য ইতিমধ্যেই ‘ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ বলেই তালগোণ পাকিয়ে দিচ্ছে। নিত্য পেট বাঁচার পন্য শাক সবজি ও মাছে লেগেছে আগুনের উত্তাপ। ডিমও যেন ইচ্ছে পুতুল হয়ে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে জীবন ধারলে খাবো কী? সামান্য কাঁচামরিচের দাম ও নিদ্রা কাতর ভোক্তার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে বিড়াল ছানার মতো শুধু লাফায়। পাবলিক যাবে কোথায়? মধ্যবিত্ত পরিবারে গরু ও ছাগলের মাংস খাওয়া সেতো এক দুরূহ অলৌকিক পাওনা। মুখরোচক খাবার পরিবেশনের সে সুসময় কি আর আছে?

বাপ দাদার ব্যাগ ভর্তি বাজার এখন পকেট ভর্তি টাকা নিয়েও মিলে না। ইলিশ মাছ জাতীয় মাছ হয়েও আহারে পাওয়ার আশা মানে ‘উলুবনে মুক্তো ছড়ানো’র মতো। তাই তো হাজারো জনগোষ্ঠীর আহাজারী। ইলিশ মাছ না খেয়ে খেয়ে রুচি ও মজার স্বাদ ভুলতে বসেছে।

দিন মুজুর গরীব জনগোষ্ঠী কার কাছে হাত পাতবে? তারা আর কত লজ্জ্বা নামক শব্দটাকে লুপ্ত করে অশান্তিতে ভুগবে? তৈল, ডিম ও কাঁচামরিচ দিয়ে নিত্য ক্ষুধা মেটার সর্বশেষ দিকটা কি সিন্ডিকেটের আচড়ে ভেস্তে যাবে? ডিম তো দেশের উৎপাদিত নিজস্ব পণ্য। তা কেন নিয়ন্ত্রণহীন?

আমরা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার পণ্যের মতো কি নিত্য সামগ্রী ক্রয়ের পথ হারাবো? অসাধু সিন্ডিকেডের ভেলকি আর কত? প্লীজ মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানুন। মানুষের ভালোবাসা ও কল্যাণের পথে আসুন। সৃষ্টি উল্লাসে মধ্যবিত্ত ও দুঃখী মেহনতী জনতার রাজ্য মজবুত করুন। বৃহৎ গরীব জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার পাশে থাকুন। আামরা বাঁচতে চাই, নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাইয়িদ আতীকুল্লাহ : শিল্পসৌকর্যের স্বাতন্ত্রে অনন্য
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী