নাঈম কৃতিত্ব দিলেন দলের বাকিদেরও

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৭ মে, ২০২২ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

ছয় উইকেট নিয়ে প্রশংসার স্তুতিটা নাঈম হাসানের জন্যই বরাদ্দ ছিল। তবে বাকিদের কথাও মনে রেখেছেন তিনি। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি কৃতিত্ব দিলেন দলের সবাইকে। নাঈম বলেন, ‘তাইজুল ভাইরাও তো খুব ভালো বল করছে, ওরা রান আটকে রেখেছে। তারপর সাকিব ভাইও ভালো বল করেছে, রান আটকে রেখেছে। গতকালকে কিন্তু আমি ওরকম ভালো বল করতে পারিনি যেটা সত্যি কথা। মানে একটা জায়গায় রান আটকে রাখার মতো। উনারা রান আটকে রাখছে। গতকাল সাকিব ভাই, কোচ ও সৌরভ (মোমিনুল হক) ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি উইকেট কি ডিমান্ড করছে, ওই অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে সাফল্য এসেছে।’
নিজের বোলিং নিয়ে এই স্পিনার বলেন, ‘আসলে হেরাথ তো লাইন-লেন্থের ব্যাপারে বলেছিল, কীভাবে উন্নতি করা যায়। আমরা বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পে ছিলাম- তখন সোহেল স্যার ছিল, উনার সঙ্গে কাজ করেছি, কী কী উন্নতি দরকার উনি বলছিল, উনার সঙ্গে কাজ করে সেটা উন্নতির চেষ্টা করেছি। এখানে আসার পর একই কথা। ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছিল, কী করতে হবে কোন পরিস্থিতিতে।’ বোলিংয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে নাঈম বলেছেন, ‘উইকেটটা খুব ভালো। ওখানে রান ছাড়া বল করার পরিকল্পনা ছিল ভালো জায়গায়। কিন্তু ওখানে যদি এক রান হয়ে যায় প্যানিক হওয়া যাবে না। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার, উনি বলেছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে হাস্যোজ্জ্বল নাঈম বলেন,দলে থাকা না থাকা টিম ম্যানেজম্যান্টের বিষয়। আমার দায়িত্ব শুধু দলে সুযোগ পেলে শতভাগ দিয়ে খেলা। মিরাজ ভাই যখন ইনজুরিতে পড়লেন খবরটি শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। উনার পরিবর্তে আমি যখন খেলছি তখন চেষ্টা ছিল শতভাগ এফোর্ড দেওয়া। দিন শেষে ফলাফল যাই আসুক। যাতে আমি বলতে পারি আমি শতভাগ চেষ্টা করেছি। সাকিব প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, সাকিব ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ছোট ছোট বিষয়গুলোতে আমাদের পরামর্শ দেন। তিনি এভাবে সাহায্য করার কারণে আমাদের অনেক উপকার হয়। অফফর্মের পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ইনজুরিতেও ভুগেছেন নাঈম। সেই সময়টাতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বলে জানান। ‘ইনজুরির সময়টা নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। তখন দলের সঙ্গে ছিলাম আমি, খেলার সুযোগ হয়নি। মিরাজ ভাই খুব ভালো খেলছিলেন, যেটা সত্যি কথা। ব্যাটিং, বোলিং ভালো করছিলেন। ওই জন্যই সুযোগ পাইনি। ইনজুরির সময় আমার চেষ্টা ছিল নিজেকে ধরে রাখার, প্র্যাকটিস করে প্রস্তুত নিয়ে রাখা।
যখন সুযোগ আসবে, তখন যেন ভালো করতে পারি।’ নাঈম আরও বলেন, ‘ইনজুরির সময়টা একটু কঠিন যায়, চেষ্টা করেছি নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। তখন আমি টিমের সঙ্গে ছিলাম। খেলা হয়নি, কিন্তু দলের সঙ্গে ছিলাম। ট্রিটমেন্ট করলাম, এরপর চেষ্টা করেছি যত তাড়াতাড়ি ফিরে আসা যায়। শেষ দুই সিরিজে আমি ছিলাম না। তখন আমি বিসিএল খেলছিলাম, এরপর তো আবার বিপিএল শুরু হলো। তারপর আবার বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে চলে গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে গ্যাপটা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাস্টার্স কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন আজ
পরবর্তী নিবন্ধহালদায় অভিযান সাড়ে ছয় হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ