বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে ছালিদং পাহাড়ি এলাকাজুড়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী ও সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ২০ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি। সীমান্তের লোকজন জানান, শুক্রবার সকালে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শুনে তাদের ঘুম ভাঙে। সীমান্ত ঘেঁষা চেরার কূলের দিদারুল আলম, আমতলীর যুবনেতা ফরিদুল আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদুল আলম ও চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মৌলানা জাফর আলম বলেন, সকাল ৭ টা থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনেন তারা। এর পরপর তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে জানতে পারেন সীমান্তেই এ গোলাগুলি হচ্ছে। বিশেষ করে ৪৪ নম্বর সীমান্ত খুঁটির ১ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের অংশের বড়ছনখোলা-ভেতরের ছড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের ছালিদং গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে।
অপর একাধিক সীমান্তবাসী জানান, তারা নানা ভাবে জেনেছেন ঘটনায় অন্তত ২০ জন লোক হতাহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
সীমান্তের এ পয়েন্টের অধিবাসী নাইক্ষ্যছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদুল আলম জানান, গোলাগুলির শব্দে সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিজিবির টহল জোরদার করায় লোকজনের আতংক কেটে যায়।
এ সীমান্তে দায়িত্বরত ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেন জানান, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের অংশে। যা নিজেদের মধ্যকার বিষয় বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তবু তিনি সীমান্তে তার অধীনস্ত অংশজুড়ে বিজিবি জোয়ানদের সর্বোচ্চ সতর্ক রেখেছেন। আর সার্বিক পরিস্থিতি পযর্বেক্ষেণ করছেন।