নাইক্ষ্যংছড়িতে লণ্ডভণ্ড সবজি ও ধানক্ষেত

গাছ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | সোমবার , ১৫ মে, ২০২৩ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ধানক্ষেত ও কলাসহ পাহাড়ি টিলাতে করা নানা প্রজাতির বাগান। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন লতাজাতীয় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি ব্যাপক। ঝড়ে মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরচাকঢালা সড়কের কে.জি স্কুল এলাকায় বিশালাকার একটি গাছ ভেঙে পড়ায় রোববার বেলা ৩টা থেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিলো।

সূত্র আরো জানায়, বাইশারী ক্যংগার বিল আশ্রয় কেন্দ্র সহ মোট ৫ কেন্দ্রে ৩ শত লোক আশ্রয় নিয়েছে। বাইশারীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানী জানান, তার ইউনিয়নে কৃষি পণ্যের ক্ষতি ব্যাপক। অন্যান্য ক্ষতি তৎক্ষণাৎ জানাতে পারেননি তিনি। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন বলেন, তার ইউনিয়নে ৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। প্র্রত্যেকটিতে স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। তার এলাকায় কৃষি ক্ষেত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি, কলাগাছ ও ধান ক্ষেতের ক্ষতি বেশি। বাকি ৩ ইউনিয়নেও খোঁজ নিয়ে একই অবস্থার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, তৎক্ষণাৎ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।

থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কোনও দুর্ঘটনার খবর নেই। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় কৃষি প্রধান এ উপজেলায় সবজি, কলা আর ধান এ তিন কৃষি পণ্যের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। ঝড়ো ও দমকা হাওয়ায় সীমান্তের চাকঢালা সড়কটিতে একটি বিশালাকার গাছ রাস্তায় পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার দুপুর ২টার পর থেকে প্রবল আকার ধারণ করে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এ সংবাদ লেখা অবধি ঝড়ো হাওয়া ও গুটিগুটি বৃষ্টি হচ্ছিলো। তবে উপজেলার কোথাও হতাহতের খোঁজ পাওয়া যায় নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলিচু খাওয়ানোর প্রলোভনে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধজলোচ্ছ্বাসের মাত্রা সহনীয় : প্রতিমন্ত্রী